কেমন আছেন? দিব্যি তো? হ্যাঁ, সত্যিই তাই। আচ্ছা রিয়া চক্রবর্তীকে মনে পড়ে? ও, পড়ে? বেশ ! তা ফেসবুকীয় তুলোধনা পর্বটা থমকে গেল কেন? এক মিনিট, আপনিই হ্যাশট্যাগ করেছিলেন না (আহা! নিজের টাইমলাইনেই পাবেন, খুঁজে দেখুন না) #বয়কটসলমনখান, #স্টপনেপোটিসম, #ব্যানকর্ণজোহর? তাহলে এখন আপনার কলার টিউন থেকে 'সিটি মার'-ছে কে? রাধে রাধে!
দেশের কথা বাদ দেওয়া যাক। শুধুমাত্র বিহারের চার শতাংশ রাজপুতের সম্মুখেই এখন আরও একবার দাড়িয়ে "না ভুলে হ্যায়, না ভুলনে দেঙ্গে, সুবিচার দেকে রহেঙ্গে" জোরগলায় বলুন না নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নীতীশ কুমার মহাশয়? অর্ণব গোস্বামীর ভারত কি আর পুঁছতে চায়না?
রাস্তা, আলো, জলের কলের দরে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার মতো এক মহৎ আবেগ তৈরি করে হঠকারিতার রাজনীতি হয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে। একইসাথে, উদ্ধব সরকারকে ফের একবার কাশ্মীর (পড়ুন পাকিস্তান) প্রমাণ করে যজ্ঞে ঘৃতাহুতির কাজটা সার্থকই বলতে গেলে। তা না হলে মুম্বাইতে বিহার পুলিশকে বাধা দেবার সাধ্যি এবং জল আরও গড়িয়ে দেশের অন্যতম সেরা আইনজীবীকে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিহারের হয়ে লড়ার সাধ্যি — এই দুঃসাহসিক খেলা নির্বাচন ছাড়া আর কখনই বা খেলা যায়! খতিয়ে দেখবেন, এখন কিন্তু আর নেপোটিসজম ইস্যুতে বলিউডের চোদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করা রামানুজরা শর্ট ভিডিও বানায়না।
আজ, ১৪ই জুন ২০২১। ঠিক এক বছর আগে এই দিন টেলিস্কোপের এপার থেকে ওপারে চলে গেছে ছেলেটা। তারপর থেকে আর আকাশে চোখ রাখা হয়নি, তারা ধরার চেষ্টা বৃথাই তাই। ডায়েরির ভাঁজে অসমাপ্ত ইচ্ছেগুলো এখন অনাবৃত কিন্তু আগের চেয়ে বেশি সমাদৃত। 'স্রোডিঞ্জার স্মাইলি'-র মতোই এক পিঠে মিষ্টি হাসিটা লেগে থাকলেও চলে যাওয়ার এক বছর পরেও 'দিল বেচারা'ই বটে!
মশাই, বৃন্ত থেকে কুঁড়ি ছিড়ে নেবার বিচার বিবেকের কাছে তো করবেন, কিন্তু বিবেক কি নীতি নির্ধারকদের সঠিক বিচার করেছে?