চোলাই মদ বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল আবগারি দপ্তর এর বিরুদ্ধে। পুরুলিয়া জেলার বাগমুন্ডি এলাকার রবিডি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে এবং এই ঘটনায় রীতিমতো মুখ পুড়েছে আবগারি দপ্তরের। অভিযোগ উঠেছে আবগারি দপ্তরের আক্রমণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। এই অভিযোগে সকাল থেকেই ঝালদা বাগমুন্ডি সড়ক অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘক্ষন পর পুলিশের হস্তক্ষেপে বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে এলাকা। কিন্তু এখনো এলাকায় ক্ষোভের পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ, ১৬ তারিখ চোলাই দেশী মদ বিক্রির অভিযোগে বাগমুন্ডি এলাকার শিকারি মুড়াকে গ্রেফতার করে আবগারি দপ্তর। অভিযোগ উঠেছে তার কাছ থেকে প্রায় ২০ লিটার দেশী মদ উদ্ধার করেছে আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা। তারপরেই শোনা যায় ১৭ তারিখ শিকারি নামের ওই যুবক হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ২০ তারিখ শিকারির পরিবারের কাছে ওই যুবকের মৃত্যু সংবাদ পাঠায় আবগারি দপ্তর এর আধিকারিকরা। স্থানীয়রা অভিযোগ জানিয়েছেন, ১৭ তারিখ যখন ওই ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন সংশোধনাগারের ভেতরেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় তার। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে, পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় চিকিৎসার জন্য।
কিন্তু ২০ তারিখ মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মঙ্গলবার তার পরিবারের কাছে ওই যুবকের দেহ পাঠানো হয়। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আবগারি দপ্তর এর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, গ্রেফতারির পরে আবগারি দফতরের আধিকারিকরা ওই ছেলেটিকে বেধড়ক মারধর করেছে। শিকারির ভাই লালটু মুড়ার অভিযোগ, 'দাদা সংসার চালাত। আবগারি দপ্তর তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তারপর তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ওরাই আমার দাদাকে মেরে ফেলেছে। আমি দোষীদের শাস্তি চাই।' মৃতের পরিবারের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানানো হচ্ছে। তার সাথেই চাকরির দাবিও জোরালো হচ্ছে। এই ঘটনায় বাগমুন্ডি বিধানসভার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো বলছেন, ঝালদা আবগারি দপ্তর শিকারিকে গ্রেপ্তার করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে মারধরের অভিযোগ করা হয়। পরিবারের দাবি, মারধরের জন্য শিকারির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।