শর্তসাপেক্ষে বাজি পোড়ানোতে ছাড় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata HighCourt) থেকে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে দূষণ রুখতে শুধু 'সবুজ বাজি' (Green Crackers) পোড়ানোতেই সায় দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। আর তাতেই মানুষের নানান মত। দাম বেশি! বোঝা যাচ্ছে না কোনগুলো 'গ্রিন ক্র্যাকার'! পরিবেশবান্ধব বাজি কোথায় মিলবে? আদৌ মেলে তো? প্রশ্ন শুনেই পর্ষদের এক শীর্ষ কর্তার মন্তব্য, "সোনার পাথরবাটি যদি মেলে, তা হলে বাংলায় সবুজ বাজিও পাওয়া সম্ভব।”
তবে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের রায় দানের আগেই অনেকেই শব্দবাজি কিনে ফেলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই, তাঁরা বাজি গুলো ফাটাবেন। এর ফলে দূষণের মাত্রাও বাড়বে। পর্ষদের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত বিটি রোড, যাদবপুর, বিধাননগরে বায়ুদূষণ সূচক ২০০-র উপরে ছিল। যা মোটেও ভালো নয়।
অন্যদিকে, সাধারণ বাজির প্যাকেটেই ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা নিরি'র লোগো এবং ভুয়ো কিউআর কোড সেঁটেই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বহু জেলায়। এই ইস্যুতেই ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র আসানসোল থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ৪১ জন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪১০ কেজি বাজি। পুরুলিয়া থেকে গ্রেফতার ১৩ জন। ঝাড়গ্রামে আটক তিন।জানা যাচ্ছে, শব্দ বাজির পোড়ানো রুখতে ড্রোন ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।