ফের চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল বাংলায়। অভিযোগ উঠেছে, বেকার যুবক যুবতীদের প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৬০ লাখ টাকা নিয়েছিল অভিযুক্ত মহিলা আইনজীবী। জানা গিয়েছে, ২০১৩-১৫ সালের মধ্যে পাথরপ্রতিমা উত্তর সিতারামপুর বাসিন্দা আসিস মান্না অভিযোগকারী স্ত্রী ও সন্তানকে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে ১১ লাখ টাকা নেয় এবং তার সাথে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু সে নিয়োগপত্র নিয়ে নির্দিষ্ট স্কুলে গেলে জানতে পারা যায় সেটি নকল। এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আশিসকে। তারপর সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে এবং বারংবার জিজ্ঞাসাবাদের পর চক্রের পান্ডা রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীর সন্ধান পায় পুলিশ। ৩২ বছরের রিয়াঙ্কা চক্রবর্তী কলকাতার হরিদেবপুরের বাসিন্দা এবং পেশায় আইনজীবী। প্রথমত এই মহিলা পালিয়ে বেরালেও অবশেষে দীর্ঘদিন পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে।
পুলিশ রিয়াঙ্কাকে গ্রেপ্তার করার পর কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলে। সেখানে ওই মহিলার দুদিনের পুলিশ হেফাজত হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, ওই মহিলা এবং তার সঙ্গী অনেক বেকার যুবক-যুবতীদের প্রাথমিক চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই মহিলা মোট ৬০ লাখ টাকা হাতিয়েছে। ধৃত রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬ টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রের সাথে আর কেউ জড়িয়ে আছে নাকি তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।