বাড়ির বৌমার উপর দুষ্কৃতী হামলা। মাথায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা। ততক্ষণে সেই মহিলার গায়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছে দুষ্কৃতী। এই দৃশ্য দেখে সত্তরোর্ধ্ব মহিলার শ্বশুরমশাই চুপ থাকতে পারেননি। নিজের অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ির বউমার সম্ভ্রম বাঁচাতে চলে আসেন। পরিণামে দুষ্কৃতী সেই বয়স্ক মানুষটির উপর চড়াও হয়ে ওঠে। মাথায় একটি জোরাল লোহার রডের বাড়ি মারে সেই অভিযুক্ত। সেই বয়স্ক মানুষটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri)। ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ এপ্রিল। এদিন নিজের বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন এক গৃহবধূ। সেই সময় এলাকার এক ব্যক্তি ধারাল অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। প্রথমে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আর তারপরেই অপ্রত্যাশিতভাবে সেই গৃহবধূর মাথায় ছুরি ঠেকিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, গৃহবধূর গায়ের পোশাক ছিঁড়ে দেয় সেই দুষ্কৃতী।
সেই সময় বাড়িতে ছিলেন গৃহবধূর সত্তরোর্ধ্ব শ্বশুরমশাই। মহিলার চিৎকার শুনে তিনি দৌড়ে বেরিয়ে আসেন। বাড়ির বৌমাকে সেই দুষ্কৃতীর হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এবার সেই দুষ্কৃতী বৌমাকে ছেড়ে বয়স্ক মানুষটির মাথায় লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারে বলে অভিযোগ। কেবল লোহার রডের বাড়ি নয়, অনবরত তাঁকে মারতে থাকে। ততক্ষণে পাড়ার লোক জড়ো হওয়ায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চম্পট দেয় সেই দুষ্কৃতী।
গুরুতর জখম সেই বয়স্ক মানুষটিকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। তারপরও শেষরক্ষা হয়নি। বাড়িতে নিয়ে এলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়েছে রাজনীতির রঙ। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনদের দাবি, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলেই পরিচিত। থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি, তেমনটাই খবর।