প্রথম দফায় ৪৫ দিন, দ্বিতীয় দফায় ১১ দিন, এ বছর সর্বমোট ৫৬ দিন অর্থাৎ প্রায় ২ মাস ধরেই গরমের ছুটি (Summer Vacation)। এমন ঘটনা 'নজিরবিহীন' আখ্যা দিয়েছেন একদল মানুষ। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মন্তব্য করেছিলেন, "রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙে দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে ভাতাজীবী সম্প্রদায়ে পরিণত করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতেই আদালত সরকার পক্ষের কৌঁসুলির কাছে জানতে চাইল গরমের ছুটির সময়সীমা ফের বাড়বে কী না? এ প্রশ্নের উত্তরে সরকার পক্ষের কৌঁসুলি সাফ জানালেন সবটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর।
এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ, আবহাওয়া রিপোর্ট বর্তমানে তাহলে কী বলছে? আলিপুর আবহাওয়া দফতর আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছে বঙ্গের সর্বত্র বর্ষা আগত। গত শনিবার দক্ষিণবঙ্গে অফিসিয়াল বর্ষা এসে গেছে। উত্তরবঙ্গে তো আরও আগে। ইতিমধ্যেই প্রায় সব জেলায় কমবেশি বৃষ্টি চলছে। গড় তাপমাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাহলে বর্তমানে বর্ষাকালে গরমের ছুটি দেওয়া বিষয়টি হাস্যকর নয় কি? যদিও এর কোন সদুত্তর নেই। আবহাওয়ার মতিগতির উপর যদি গরমের ছুটি নির্ভর করে তাহলে তো সারা বছরই স্কুল বন্ধ রাখতে হয়, এমন কটাক্ষও করেছেন একাংশ।
সমাজের আর এক অংশের দাবি, স্কুল বন্ধ রেখে সরকার আসলে কি স্কুলগুলিতে থাকা শিক্ষক ঘাটতি আড়াল করতে চাইছে? স্কুল খোলা থাকলে শিক্ষকের প্রয়োজন, আর স্কুল যদি খোলাই না থাকে শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন কী! একই ভাবে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, "মাসের পর মাস স্কুল ছুটি থাকলে নিয়োগ করতে হয় না নতুন শিক্ষক, খরচ হয় না পরিকাঠামোতেও। সেই টাকায় দিব্যি চালানো যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যায় আসে না।"
মিড ডে মিল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। যদিও সরকার পক্ষের দাবি, মিড ডে মিল বন্ধ নেই। রান্না করা মিড ডে মিল দেওয়া না হলেও মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।