বড়সড় অঘটন না ঘটলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দলের রাজ্য সম্মেলনে রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজেই সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে সূত্র মারফত খবর। তবে তাঁর জায়গায় কে আসবেন তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কানাঘুঁষোয় উঠে আসছে দু'টি নাম মহম্মদ সেলিম অথবা শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। তবে শেষমেশ কে হবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তার জন্য আরও মাস তিনিকের অপেক্ষা।
সূত্রের খবর, পরপর ভরাডুবির পর সিপিএমের অন্দরে দলের গঠনতন্ত্রে বসে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা নিয়ে দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তীব্র চাপানউতোর এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথমে 'চিরশত্রু' কংগ্রেসের সঙ্গে জোট, তারপর ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে আইএসএফের সঙ্গে জোট ঘিরে জটিলতা বেড়েছে। দলের নীচুতলার কর্মীদের অভিযোগ এ নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের সঙ্গে কোন আলোচনাই করেনি। তারপর একুশের নির্বাচনের ফলাফল দেখে আরও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। এমন অবস্থায় রাজ্য সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য নিজেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
পরিবর্তন প্রায় নিশ্চিত। তবে পরবর্তীতে কে হবেন রাজ্য সম্পাদক তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। দলের অন্দরে দু'টি নাম ঘুরে ফিরে আসছে। সেক্ষেত্রে সিপিএমের বয়সনীতিকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। তার জন্য মহম্মদ সেলিমের নাম উঠে আসছে। মহম্মদ সেলিম রাজ্য সম্পাদকের দৌড়ে এগিয়ে থাকার অনেকগুলো কারণ দেখিয়েছেন একাংশ। বলা হচ্ছে মহম্মদ সেলিম রাজ্য সম্পাদক হলে এই প্রথম কোন সংখ্যালঘু এমন দায়িত্ব পাচ্ছেন। পাশাপাশি রাজ্য ও কেন্দ্র স্তরে কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। সুবক্তা, পাশাপাশি সিপিএমের বয়সনীতি অনুযায়ীও তিনি এগিয়ে। অন্যদিকে তিনি না হলে শ্রীদীপ ভট্টাচার্যের নামও অনেকেই বলছেন। আনকোরা নাম হলেও বহু কাজের অভিজ্ঞতায় ভরপুর তিনি। সব মিলিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা না হলেও পরিবর্তন প্রায় নিশ্চিত, তবে কে হবেন সিপিএমের পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা।