স্কুলের পড়াশোনা থেকে পরিচালন ব্যবস্থা বা সহজ কথায় স্কুল সম্বন্ধিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে কৌতুহল থাকে বেশীরভাগ অভিভাবকেদের মনে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ মারফত সেই সদুত্তর কোনোদিনই পাওয়া যায় না। সেই সঙ্গে আবার চলতি মরশুমে নিয়োগ দূর্নীতি মামলা ঝুলে রয়েছে। এমতবস্থায় এই সমস্যা থেকে মুক্তির দারুন উপায় পাওয়া গেল হাতে। যার জেরে অভিভাবকেরাও আর ধোঁয়াশায় থাকবেন না এবং স্কুলে শূন্যপদে নিয়োগের ব্যাপারটিও স্বচ্ছাবস্থায় আসবে। কিন্তু কীভাবে?
রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে এবার নিয়ম করা হয়েছে স্কুলের ভিতরের বিভিন্ন তথ্য এবার থেকে অভিভাবকদের জানাতে বাধ্য স্কুল কর্তৃপক্ষ। তা স্কুল ভবন নির্মাণে কত টাকা লেগেছে হোক কিংবা কোনো শিক্ষক সময় মতো আসছেন কি না, বা কখন আসছেন, এই সব কিছুই এখন থেকে অভিভাবকরা তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী জানতে পারবেন। সঙ্গে যদি কর্তৃপক্ষের উপর কোনো অভিযোগ থেকে থাকে তাও জানাতে পারবেন অভিভাবকেরা। পাশাপাশি, কোনো স্কুলে কত শূন্যপদ রয়েছে, তাও এই আইন মারফৎ জানা যাবে। এর ফলে স্কুলে বদলি নিতে চাওয়া শিক্ষকরাও আগেভাগে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকতে পারবেন। স্কুলের শূন্যপদ আর চেপে রাখতে পারবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে এই নির্দেশিকায় খুঁত ধরেছে শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন, "তথ্য জানার অধিকার আইনে স্কুলের তরফে যাঁরা এই তথ্য জানাবেন, তাঁরা হলেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও টিচার ইন চার্জ। অথচ স্কুল পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব থাকে প্রধান শিক্ষকের ওপর। এখন প্রশ্ন, প্রধান শিক্ষককে এড়িয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক বা টিচার ইনচার্জ কি যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন?" তিনি আরও প্রশ্ন করেন, "স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এড়িয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক বা টিচার ইনচার্জকে এই দায়িত্ব দেওয়া স্কুল পরিচালন রুলের পরিপন্থী। সেই বিষয়টিও ভেবে দেখা দরকার।"