ওমিক্রন নিয়ে ইতিমধ্যেই জায়গায় জায়গায় উদ্বেগের সুর। পশ্চিমবঙ্গের ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিষেধ এর মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এর কারণে। জানা যাচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই বিধি-নিষেধ কার্যকর থাকতে চলেছে। আগের মতোই সমস্ত নিয়মকানুন চালু থাকবে এবং রাত্রি ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত সমস্ত বিধি-নিষেধ কার্যকর থাকবে। করোনাভাইরাস এর এই নতুন ভেরিয়েন্ট নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছে গোটা ভারত। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের কারণে করোনা বিধি নিষেধের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে কেন্দ্রের পথে হেটে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিধি নিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
জানা যাচ্ছে, এই নতুন বিধিনিষেধের নিয়মকানুন অনুযায়ী রাত্রিবেলা কড়া বিধি-নিষেধ জারি থাকছে সারা রাজ্যে। সেই সময় শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত লোকজন ছাড়পত্র পাবেন যাতায়াত করার। জানা যাচ্ছে, ওমিক্রন বা করোনাভাইরাস এর নয়া প্রজাতির সংক্রমনের কারণেই রাত্রিকালীন বিধি-নিষেধ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে বাকি সব নিয়মে একই রকম থাকবে। লোকাল ট্রেন অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলবে। বাকি এতদিন পর্যন্ত যা চলছিল তা চলবে, তবে স্কুল-কলেজ আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য খোলা থাকবে।
দোকানপাট সমস্ত খোলা থাকছে। সাধারণভাবে অফিস কাছারি সমস্ত কাজকর্ম চলবে। শুধুমাত্র রাত্রে এই বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে এই বিধি-নিষেধ পরিবর্তিত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই শুক্রবার এই করোনাভাইরাস এর নতুন প্রজাতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরফে হু। গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছিল। গত ৯ নভেম্বর প্রথমবারের জন্য ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এর সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তারপর থেকে কিছু মিউটেশন হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু জায়গায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতীয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা এক ব্যক্তির দেহে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এর করোনাভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল বলে কিছুদিন আগে জানা যায়। তারপর থেকেই ভারত সরকার এই ভাইরাস নিয়ে যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করা শুরু করেছে। এবং সেই জন্যই এই নাইট কারফিউর সিদ্ধান্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের।