কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য এরআগে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মান পেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা (West Bengal)। এবার জাতীয় স্তরে "ইজ অফ ডুইং বিজনেস" বা "শিল্পসাথী প্রকল্পের" জন্য "স্কচ প্ল্যাটিনাম" পুরস্কার জিতে নিয়েছে বাংলা। এছাড়াও রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হল আরও ৩ টি স্কচ অ্যাওয়ার্ড (SKOCH Award), যার মধ্যে একটি গোল্ড ও দুটি সিলভার অ্যাওয়ার্ড। গ্রামাঞ্চলে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু প্রক্রিয়া সরলীকরণের জন্য ও ই নথিকরন বিভাগের পরিষেবার উন্নতির জন্য রাজ্য সরকার দুটি "সিলভার স্কচ অ্যাওয়ার্ড" পেয়েছে। এছাড়া অনলাইনে সার্টিফিকেট নবীকরণ পরিষেবা চালু করার জন্য "গোল্ড স্কচ অ্যাওয়ার্ড" এসেছে। রাজ্য সরকারের অনলাইনে সমস্ত কাজ সরলীকরণ করার প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দেশ। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির কথা আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেই ঘোষণা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওইসমস্ত পরিষেবার সাথে যুক্ত সমস্ত কর্মীকে অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেইসাথে তিনি বলেছেন, "ইজ অফ ডুইং বিজনেস বা ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়া আরও সরলীকরণ করার কাজ চালিয়ে যাবে বাংলা। গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্যে সবচেয়ে সহজে ব্যবসা করা যায়। যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার জন্য আজ এই সম্মান এল, তাঁদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বারংবার বিরোধীপক্ষ রাজ্য সরকারকে বাংলায় শিল্প নেই বলে কটাক্ষ করেন। তাদেরই যোগ্য জবাব দিলেন আজ মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে "গ্লোবাল বিজনেস সামিট" এর আয়োজন করে সরকার। এছাড়া ব্যবসা শুরুর সময় প্রক্রিয়া সরলীকরণ করতে মমতা সরকার সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম "শিল্পসাথী" প্রকল্প শুরু করেছেন। জাতীয়স্তরের ৪ টি স্কচ অ্যাওয়ার্ড বিরোধীদের প্রশ্নের যোগ্য উত্তর হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে, গত সপ্তাহের পর থেকে একটানা রেকর্ড বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চার পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও অনেক জায়গায় জল জমে রয়েছে। তাই এলাকার বাসিন্দাদের নিত্যনৈমত্তিক কাজ করতে প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে আগামীকাল তিনি বন্যাবিধ্বস্ত হুগলির খানাকুল এলাকা পরিদর্শন করতে যাবেন। ওই অঞ্চলের জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকাল তিনি প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করতে আসবেন। গতকাল সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার প্লাবিত এলাকায় বাসিন্দাদের উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। জলের স্রোত এতটাই বেশি যে স্পিডবোটে উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই বায়ুসেনার কপ্টারকে কাজে লাগাতে হয়েছে।" গতকাল নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গতদের ত্রাণের কোন অভাব যাতে না হয় তার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া যে সমস্ত জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্তুত করার কাজ চলছে।