শ্রাবণ শেষ হতে চলল, বর্ষার দেখা নেই। গ্রামগঞ্জে হাহাকার। বৃষ্টির অভাবে আমন চাষ এখনও শুরুই করা যায়নি রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এখনও বহু জায়গায় মাঠের জমি শুকনো খটখটে। চরে বেড়াচ্ছে গরু-ছাগল। চাষের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন একদল কৃষক। এরমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের তরফে খুশির খবর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়েছে নিম্নচাপ। তার জেরে ১১ অগাস্ট পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে। দুই জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে মাইকিং। মানুষদের সতর্ক করা হচ্ছে। চলছে দুর্বল বাঁধ মেরামতির কাজ।
সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী এলাকা মূলত গোসাবা,বাসন্তী, ক্যানিং, কুলতলির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তার মধ্যে গোসাবা ব্লকের ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতই ৯ টি দ্বীপের মধ্যেই অবস্থিত। প্রবল বৃষ্টিপাত আর ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বারে-বারেই নদীবাঁধ ভাঙে সুন্দরবনের এই সব এলাকায়। সেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিভিন্ন গ্রাম। তাই গোসাবার ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সূত্র মারফত খবর, বিডিও অফিসের কন্ট্রোলরুম থেকেই প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিটি মুহূর্তের আপডেট রাখছে স্থানীয় প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় রয়েছে বাড়তি সতর্কতা। সমুদ্র উত্তাল। পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীদের প্রস্তুত থাকতে প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।