হাড় কাঁপানো ঠান্ডা থেকে আচমকাই তাপমাত্রা বৃদ্ধি। মেঘলা আবহাওয়ার সঙ্গে তৈরি হয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় পর্যুদস্ত বাংলার মানুষ। এমনিতেই বছরভর নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার চাষী, ফের এই অসময়ে বৃষ্টির ভ্রূকুটিতে মাথায় হাত একাংশের। গত কয়েক দিনে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় তাপমাত্রা যেখানে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছিল, সেখানে সোমবার পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করেছে। কলকাতায় তো আরও বেশি। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। মেঘলা আকাশের সঙ্গে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আবহাওয়াবিদদের একাংশ জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তরের হিমেল বাতাস আসার পথে বাধা তৈরি হয়েছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে আচমকাই শীত গায়েব। দক্ষিণবঙ্গের যেসব এলাকায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল, সেই স্থানগুলির গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সোমবার আসানসোল ও ক্যানিং-এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর উলুবেড়িয়া এবং বর্ধমানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে তৈরি হয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয়েছে কুয়াশা। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেই সঙ্গে ফের শীত ফিরবে কী না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা। দক্ষিণবঙ্গে পারদ পতন স্তব্ধ হলেও উত্তরবঙ্গে শীতের প্রকোপ চলছেই। সোমবার কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাসও আছে।