আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিলই নবমীর দিন থেকেই ফের ভাসতে পারে বাংলা। বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হওয়া নিম্নচাপের (Low Pressure) জেরে নবমীর রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। এর মধ্যেই নবমীর দুপুরে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলা থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। পূর্ব বর্ধমানে বৃষ্টির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। নবমীর দুপুরে বর্ধমান শহরের একাধিক জায়গা ভাসল, সঙ্গী ছিল বজ্রপাত। সূত্র মারফত খবর, অতি বৃষ্টির জেরে একাধিক পুজো মণ্ডপের ক্ষতি হয়েছে। ভেসেছে একাধিক এলাকা।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। নবমীর সকাল থেকেই আকাশ অংশত মেঘলা। তবে রাত থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়তে পারে। দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতা ও হাওড়াতে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপটি ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। তার জেরে আগামী ১৭ ও ১৮ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পুজো মিটতে না মিটতেই ফের রাজ্যবাসীর কাছে অশনিসংকেত।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে ঘনীভূত নিম্নচাপটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের দিকে সরে আসছে। এরফলে ওড়িশার দক্ষিণাংশে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাংশে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় আগামী ১৭ ও ১৮ অক্টোবর প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস।
অতি বৃষ্টির পূর্বাভাস প্রায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার হতে পারে দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুরে। এগুলোয় হলুদ সতর্কতা। বৃষ্টির সঙ্গেই থাকবে ঝোড়ো হাওয়া। ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। ওই দিনগুলিতে বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘন্টায় প্রায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তার জেরে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে, বাড়তে পারে সমুদ্রের জলস্তর। এই দিনগুলোতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।