আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপ (Low Pressure) ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার থেকেই বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির ঘটনা। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া তো আছেই। তার সঙ্গে ভরা কোটালের কারণে উত্তাল সমুদ্র। উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের ঘুম ছুটেছে। চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে চলছে বৃষ্টি, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সুন্দরবন (Sundarban) লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সান্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশের রায়মঙ্গল ও কালিন্দী নদী তীরবর্তী নদীবাঁধে দেখা দিয়েছে ফাটল। জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বিপত্তি।
সকাল থেকেই উত্তাল পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা। সমুদ্রের পাড়ে আছড়ে পড়ছে বিরাট ঢেউ। জুনপুট, তালপাটি, খেজুরির সমুদ্র উপকূলে জারি হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। চলছে মাইকিং। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী এলাকা মূলত গোসাবা,বাসন্তী, ক্যানিং, কুলতলির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তার মধ্যে গোসাবা ব্লকের ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতই ৯ টি দ্বীপের মধ্যেই অবস্থিত। প্রবল বৃষ্টিপাত আর ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বারে-বারেই নদীবাঁধ ভাঙে সুন্দরবনের এই সব এলাকায়। সেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিভিন্ন গ্রাম। তাই গোসাবার ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। সূত্র মারফত খবর, বিডিও অফিসের কন্ট্রোলরুম থেকেই প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিটি মুহূর্তের আপডেট রাখছে স্থানীয় প্রশাসন।