চতুর্থ দফার নির্বাচন ১০ এপ্রিল। আজ সন্ধ্যায় তার নির্বাচনী প্রচার শেষ হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দল শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে কোন ধরণের খামতি রাখতে চাইছেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ চারটি সভা করছেন। আর প্রত্যেকটি সভায় কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে নানান অভিযোগ এনেছেন। কখনও বলেছেন বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কিনে নিতে চাইছে, আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "বিজেপির মিটিংয়ে গেলে ১০০০ টাকা, ভোট দিলে ৫০০ টাকা দিচ্ছে।" এরপর মানুষের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে আপনারা বিজেপি নেতাদের বলুন, "আমরা ক্যাস চাই না, গ্যাস চাই।"
হুগলির বলাগড়ের সভায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের নানা প্রকল্পের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, "উন্নয়ন দিয়ে ভোট হোক, হিংসা দিয়ে নয়।" বলাগড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারী সম্পর্কে বলেন যে এই মনোরঞ্জন ব্যাপারী কখনও রিক্সা চালিয়েছে, কখনও রান্নার কাজ করেছে, তার মধ্যে থেকে দলিতদের নিয়ে কাজ করেছে, বই লিখেছে। তিনি উল্লেখ করেন, "এই মানুষটিকে আপনারা ভোট দিয়ে জেতান। ও আপনাদের পাশে থাকবে।"
মুখ্যমন্ত্রী হুগলির শ্রীরামপুরের জনসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আজ হাওড়ার ডোমজুড়ের সভায় নাম না করে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে নানা অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, "অন্যকে বলবার আগে নিজে কত সম্পত্তি করেছো কলকাতা থেকে দুবাই যাও মানুষকে জবাব দাও। তারপর মানুষের কাছে ভোট চাও।" এদিনের সভায় বারবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে রীতিমত তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র সরকারের নানান ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, " এখন রোজ আসছ কেন কলকাতায়? কোভিডের সময় তো আসনি? ঝড়ে লোক মারা গেছে তখন তো আসনি? বন্যায় মারা গেছে আসনি, খরায় মারা গেছে আসনি?"