বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) অচলাবস্থা অব্যাহত। গত কয়েক দিনের লাগাতার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিকাঠামোই বিপর্যস্ত, সূত্র মারফত এমনটাই খবর। এমন অবস্থায় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কার্যত প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) দ্বারস্থ হয়েছেন। নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে আবেদন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার কারণে তিনি কোন কাজ করতে পারছেন না। এমনকী নিজের বাসভবনে কার্যত গৃহবন্দি আছেন তিনি। এর পাশাপাশি বীরভূম জেলা পুলিশের কাছে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ই-মেল মারফত বার্তা পাঠিয়েছেন।
গত কয়েক দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। উপাচার্যের তিন শিক্ষার্থীর ৩ বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী চত্বর। শুরু হয় লাগাতার আন্দোলন। মঙ্গলবার সারাদিন উত্তাল ছিল শান্তিনিকেতন। সূত্রের খবর, সকাল থেকেই পূরবী ও বলাকা গেট আটকে দেওয়া হয়। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে, ছাত্র আন্দোলনের কারণে এই পরিস্থিতি, যদিও শিক্ষার্থীদের দাবি উপাচার্যের নির্দেশে গেটে তালা ঝোলানো হয়েছে। এ নিয়ে দিনভর চলতে থাকে অবস্থান বিক্ষোভ।
উল্লেখ্য, এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দেন বাম ছাত্র সংগঠনের সৃজন ভট্টাচার্য, ঐশী ঘোষরা। প্রেসিডেন্সি বা যাদবপুরের ধাঁচে এদিনের বিক্ষোভে চলতে থাকে স্লোগানের পর স্লোগান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের ব্যানারে লেখা থাকতে দেখা যায়, 'বিদ্যুতের বাড়লে তেজ, কমিয়ে দাও ভোল্টেজ'। এরমধ্যে সোমবার ভিসির বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের ধস্তাধস্তি হয়। এই ঘটনায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন কয়েকজন ছাত্রী। তাঁদের অভিযোগ, মহিলা নিরাপত্তাকর্মী থাকা সত্ত্বেও তাঁদের গায়ে হাত দিয়েছেন পুরুষ নিরাপত্তারক্ষীদের একাংশ। এমন অচলাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ তো ছিলই, এবার সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল বের হবে না বলে জানিয়ে দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।