রাজ্য সরকার এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল আরো চওড়া হলো। এবারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পৌষ মেলা না আয়োজিত হওয়ার সমস্ত দায় রাজ্যের উপর বর্তালেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পৌষ উৎসব আয়োজন না হলেও ৭ পৌষ ছাতিমতলায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপাসনা সূচনা করা হয়েছে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বললেন, "স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিবকে আমরা চিঠি লিখেছিলাম, কিন্তু সে দিক থেকে কোনো উত্তর আসেনি। এই কারণে এই বছর বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত করা গেল না।"
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি প্রতিবারের মত এবারেও কেন্দ্রীয় সরকারের গুণগান করতে ছাড়লেন না উপাধ্যক্ষ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আজকের বক্তৃতায় সরকারি নতুন শিক্ষানীতিকে সাধুবাদ জানালেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যদিও প্রাক্তনীদের একাংশ এ বিষয়টি নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ। আগের বছরের মতো এবারেও পৌষ মেলা না হওয়া নিয়ে অনেকের মনে দুঃখ আছে। কিন্তু তারা বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবছর পৌষ মেলা আয়োজিত না করা হলেও, ৭ পৌষ বৃহস্পতিবার সীমিত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে ছাতিম তলায় বৈতালিক এবং উপাসনার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
তবে, বিশ্বভারতীতে পৌষ মেলা না আয়োজিত হলেও, বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে প্রায় একইরকম একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে ওই মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে এবং আগামী ১১ পৌষ সোমবার পর্যন্ত ওই মেলা চলবে। শান্তিনিকেতনের সাবেক ঐতিহ্য পৌষমেলার মত করেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাই, কিছুটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো অবস্থা এবছর শান্তিনিকেতনে। এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আরো বলেন, "আমরা শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা করার জন্য অক্টোবর মাস থেকে উদ্যোগী হয়েছিলাম। সেই সময় আমরা প্রথমে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাই, তারপরে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি পাঠাই আমরা। কিন্তু সেদিক থেকে কোন উত্তর না মেলায়, আমরা পৌষ মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"