ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ফের উত্তাল বিশ্বভারতী (Visva Bharati) চত্বর। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরেও উপাচার্যের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে আছেন মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। সকাল থেকে দেখা গেছে মৃত ছাত্রের মা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। আজ সকালে বাবা ও ঠাকুমা সেই ধর্ণায় যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও আজ ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
আজ সকাল থেকে ঠিক কী দেখা গিয়েছে? মৃত ছাত্রের মা ধর্ণারত অবস্থায় সকাল থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের ছেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। তাঁদের দাবি, উপাচার্য নিজে বেরিয়ে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। সূত্রের খবর, এখনও অনড় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এখনও নাকি তিনি দেখা করেননি।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর পাঠভবন ছাত্রাবাস থেকে এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে বিশ্বভারতীর নিজস্ব পিয়ারসন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই শুরু হয় চাপানউতোর। পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলের মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুন, প্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন মৃত ছাত্রের বাবা। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, এই হোস্টেলে কোন হস্টেল সুপার নেই। এমনকী হস্টেলের ওয়ার্ডেনও নাকি অস্থায়ী। এছাড়া এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের পরিবার একাধিক দাবি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ না ডেকেই তাঁদের ছেলের দেহ নামিয়ে ফেলা হয়েছে। মৃত্যুর পরও তাঁদের জানানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষও। পরিবারের লোকজন উপাচার্যের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন। কাল থেকেই চলছে সেই ধর্ণা শিবির।