স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media) আলাপ। ধীরে ধীরে সম্পর্ক আরও মধুর। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেখাশোনা, কথাবার্তা, প্রয়োজনে আর্থিক লেনদেনও। সবই প্রেমের কারণে। এইভাবে বছর চারেক কাবার। এবার তো পরিণতি চাই? অগত্যা, সরাসরি দেখাসাক্ষাৎ করে বিয়ের প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চান উভয়ে। যেমন কথা তেমন কাজ! উভয়ের পরিবারের লোকজন-সহ প্রথম সরাসরি দেখা করার প্রস্তুতি। মেয়ে তো ছেলে দেখেই জ্ঞানহারা। এতদিন কার সঙ্গে তিনি প্রেম করেছেন?
ঘটনাটির সাক্ষী থাকল বিষ্ণুপুর (Bishnupur) বাসস্ট্যান্ড। একজন অল্পবয়সী ছেলে এবং তার চেয়ে বছর পাঁচেকের বড় মেয়ের হাতাহাতি। রীতিমতো ধুন্ধুমার কাণ্ড। ছেলেটির প্রতারণা মেনে নিতে পারেনি মেয়েটি। কী হয়েছে এদিন? নাবালক প্রেমিকের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা টাউন এলাকায়। আর যুবতীর বাড়ি পুরুলিয়ায়। উভয়ের পরিচয় স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সেখান থেকেই আলাপ, তারপর প্রেম।
যুবতীর অভিযোগ, ছেলেটি বয়স ভাড়িয়েছে। আধার কার্ড অনুযায়ী ছেলেটির বয়স ১৭ বছর, অথচ বলেছিল ২১। অন্যদিকে মেয়েটির বর্তমান বয়স ২১। মনে হয়েছিল দু'জনেই একই বয়স। বিয়ে হতেই পারে। সেই মোতাবেক যুবতীর দাবি নানা অজুহাতে নাবালক প্রেমিক তার কাছ থেকে অন্তত ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। বয়স লুকিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
এদিন বিষ্ণুপুরে উভয় পরিবারের লোকজনদের আসার কথা। যুবতীর পরিবারের লোকজন উপস্থিত। কিছুক্ষণ পর পৌঁছায় নাবালক প্রেমিক। দেখা যায় বয়সে সে অনেক ছোট। অন্তত বছর পাঁচেকের। অনেকক্ষণ কেটে গেলেও নাবালক প্রেমিকের বাড়ি থেকে কেউ আসে না। এরপর শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড। যুবতী প্রেমিকার বাড়ির লোকজন বেধড়ক মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গোটা ঘটনায় তাজ্জব লোকজন। প্রশ্ন, এমনও হয়?