বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা অব্যাহত। তার রেশ পড়েছে এপার বাংলাতেও। বাংলাদেশে হিংসার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে দিনভর চলল রাজ্যজোড়া বিজেপির বিক্ষোভ। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও বিজেপির তরফ থেকে পালন করা হল বিক্ষোভ কর্মসূচী। তবে কেবল বিজেপিই নয়, দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়ে পথে নামলেন কলকাতা ইসকনের সদস্যরাও।
বাংলাদেশে অশান্তির প্রতিবাদে সোমবার বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের তরফ থেকে বালিগঞ্জ থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। মিছিলে পা মেলান বিজেপির তরফ থেকে লোকসভার সাংসদ এবং সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও। বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি অত্যাচারের প্রতিবাদে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার মোড়েও এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভে তাঁদের একমাত্র দাবী বাংলাদেশে হিংসার ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তবে শুধু কলকাতাই নয়, হাওড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদহ-সহ রাজ্যের নানান জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সামিল হন বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপির পাশাপাশি ওপার বাংলায় ইসকন মন্দিরে হিংসার ঘটনা এবং হত্যালীলার প্রতিবাদে এদিন পথে নামেন কলকাতা ইসকনের প্রতিনিধিরাও। ‘বাংলাদেশের ইসকন মন্দিরের উপর সহিংস আক্রমনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই’, ‘সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে ধরে ইসকনের সদস্যদের দাবী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শাস্তি দিতে হবে দোষীদের। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার রাত্রিবেলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় ইসকনের তরফ থেকে।
সবমিলিয়ে উৎসবের আবহেই সাম্প্রদায়িক হিংসার আঁচে জর্জরিত দুই বাংলা। তবে শুধু এপার বাংলাই নয়, প্রতিবাদের স্বর ভেসে এসেছে ওপার বাংলার তরফ থেকেও। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের যত শীঘ্র সম্ভব শাস্তি প্রদানের দাবী জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হিংসাকাণ্ডে সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই হিংসাকে কেন্দ্র করে ৪০০০-এরও বেশি বাংলাদেশীর নামে এফআইআর জমা পড়েছে সে দেশে।