তৃণমূল ছেড়ে একের পর এক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন একাধিক নেতা মন্ত্রীরা। আর এবার বিজেপি নয়, আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টও তৃণমূলের অন্দরে ফাটল ধরালো। গতকালই হুগলির ফুরফুরা শরীফে গিয়ে আইএসএফে যোগ দেন উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খান ও জগৎবল্লভপুর বিধানসভার যুবনেতা সাবির আহমেদ। আব্বাসের দলে যোগ দিয়েই তারা কড়া ভাষায় ব্যক্ত করেন, বিজেপির মতো দলকে রুখতে গেলে একমাত্র কাজ আইএসএফ-এর শক্তি বৃদ্ধি করা, কারন তাদের মতে আব্বাসরাই পারে আন্তরিকভাবে বিজেপি বিরোধী সংগ্রাম চালাতে। নতুন দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের মঞ্চে আব্বাসউদ্দীন খান ও সাবির আহমেদরা আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান নৌসাদ সিদ্দিকী ও সভাপতি শিমুল সোরেনের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন। এই যোগদানে স্বভাবতই খুব খুশি দুই প্রাক্তন তৃণমূলী।
আর কি বললেন তারা? আব্বাসউদ্দীন স্পষ্ট জানান তার যোগদানের সাথেই তার পাঁচশো জন অনুগামী আব্বাসের দলে এলেন। অন্যদিকে সাবিরও জানান তার ২৫০ জন অনুগামীও একই সাথে জোড়াফুলকে বিদায় দিয়ে খামকেই আপন করে নিতে প্রস্তুত। তৃণমূলের ওপরও ক্ষোভ উগরে বলেন বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে একেবারেই আন্তরিক নয় তৃণমূল, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের সাথে আব্বাসের তুলনা করে শেষে আব্বাসের নেতৃত্বকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে বেছে নিয়েছেন তারা আর আইএসএফও শাসক দলে চিড় ধরিয়ে খুশি। আর এই নিয়ে কি প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের? তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, এনারা প্রত্যেকেই প্রার্থী হতে না পেরে দল ছেড়েছেন। উলুবেড়িয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে কর্মরত অবস্থায়ও আব্বাসউদ্দীন একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসন্তোষের কারণ হয়েছিলেন, অতএব দলে থেকে দলবিরোধী করছে যারা, তারা নির্মূল হওয়াই ভালো এবং এই ধরণের নেতারা দল ছাড়লে দলের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবেনা, এমনটাই মনে করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।