প্রথমে জামাইয়ের বিরুদ্ধে দুই শ্যালককে খুনের অভিযোগ, তারপর উত্তেজিত জনতার বেদম প্রহারে গুরুতর আহত জামাই এখন কোমায়। ঘটনাটি আসানসোলের। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আসানসোল উত্তর থানার নুনীর বাউড়ি পাড়ার ঘটনা এটি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই উদ্ধার হয়েছে দু'টি মৃতদেহ। সূত্রের খবর, জামাই হারু বাউরি দুই শ্যালককে হত্যা করেছে। অভিযোগ, প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে। তারপর জলে ডুবিয়ে হত্যা করে ওই অভিযুক্ত জামাই। ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্ত হারু বাউরি চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই এলাকার লোকজন ধরে বেধড়ক প্রহার করে। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রথমে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়। দুই শ্যালকের দেহ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর অভিযুক্ত হারু বাউরির অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখন হাসপাতালে কোমায় চিকিৎসাধীন।
কী কারণে এই ঘটনা? পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান মদ্যপ অবস্থায় তিনজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আর তখনই গলায় গামছার ফাঁস জড়িয়ে হত্যা করা হয় বলে খবর। তবে এই ঘটনার পেছনে প্রকৃত কারণ কী তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত হারু বাউরির জ্ঞান ফিরলে প্রকৃত ঘটনার অনেকটাই পরিষ্কার হবে বলে ধারণা পুলিশের। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।