বামেদের মিছিলকে কেন্দ্র করে তমলুকে (Tamluk) ঘটে গেল রীতিমতো একটি তুলকালাম ঘটনা। মঙ্গলবার সিপিআইএমের শ্রমিক এবং সারা ভারত কৃষক সভা ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে জেলাশাসকের দপ্তর অভিযান এবং আইন অমান্য কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল তমলুকে। সেই নিরিখে প্রথমে তমলুকের নিমতৌড়ি মোড়ে সভা করার পরে মিছিল এগোয় জেলাশাসকের অফিসের দিকে। কিন্তু মিছিল একদিনে এগোতেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বাম কর্মীদের খন্ড যুদ্ধ। ধস্তাধস্তি থেকে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা। তার মধ্যেই মাথা ফাটে একজনের বলে খবর।
তমলুকের এই এলাকায় এদিন পুলিশের সঙ্গে মিছিলে থাকা কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং করা হয় একটি বিশাল জমায়েত। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এই জমায়েত সরাতে জল কামান এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। পাল্টা পুলিশের দিকে ইট ছুঁড়তে থাকেন বাম কর্মীরা। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, অনাদি শাহু এবং পরিতোষ পট্টনায়করা। এই মিছিলে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। জেলা শাসকের দফতর ঘেরাও অভিযান নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম হয়ে ওঠে তমলুক।
তবে আজকের মিছিলের খবর জেলা পুলিশের কাছে আগেই ছিল বলে জানিয়েছে বিভিন্ন বাম দলগুলি। এই কারণেই জেলাশাসকের দফতরের আগে ত্রিস্তরীয় দলীয় নিরাপত্তা বলা হয় তৈরি করেছিল পুলিশ। কিন্তু এই বিশাল মিছিল এগোতেই ওই নিরাপত্তা বলায় একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। প্রায় বহুদিন পরে এরকম একটি মিছিল করে দেখিয়েছে বাম সংগঠনগুলি। আর এই মিছিল দেখে অনেকেই মনে করছেন বাম হয়তো আবারও পশ্চিমবঙ্গে অক্সিজেন ফিরে পেতে শুরু করেছে। এই মিছিলের পরিস্থিতি দেখে রনংদেহি ভূমিকা গ্রহণ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসের সেল এবং পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। এই ঘটনায় অনুপম মন্ডল নামের একজন বাম সমর্থকের মাথা ফেটেছে বলে খবর। পুলিশের পাল্টা অভিযোগ, তাদেরকে লক্ষ্য করতে ইট ছোড়া হয়েছে। যদিও মিছিলে বাধা পেয়ে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাম কর্মীরা। এর কারণে একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।