মহাসপ্তমীর আনন্দের মাঝেই এক মর্মান্তিক ঘটনার জেরে বিষাদের ছায়া নেমে এলো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত। বাড়ি পোড়ানো দেখতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল পাঁচ বছরের এক শিশু। কিন্তু সেই বাজিই ডেকে আনল একরত্তির মৃত্যু। অবিশ্বাস্য ঘটনায় স্তব্ধ শিশুটির মা-বাবা। আচমকা এমন ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসীও।
সূত্রের খবর, মৃত শিশুর নাম সায়ন সেন। তার বয়স ৫ বছর। বারাসাতের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল এলাকায় তার বাড়ি। শিশুটির বাবা পেশায় সব্জি বিক্রেতা। প্রতিদিনের মতো সপ্তমীতেও তিনি সব্জি বিক্রি করতে গেছিলেন। তবে ঘরে ফিরে একমাত্র ছেলেকে আর দেখতে পাবেন না, একথা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি শিশুটির বাবা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং শিশুর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সকালবেলা সেখানে টিনের কৌটোয় করে চকলেট বোমা ফাটাচ্ছিল বেশ কয়েকজন। সেই শব্দ পেয়েই আগ্রহবশত ৫ বছরের সায়ন ছুটে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যায়। অভিযোগ, তখনই বিস্ফোরণে টিনের কৌটো ফেটে তার টুকরো শিশুটির গলায় গিয়ে বেঁধে। ঘটনাস্থলেই শিশুর গলা কেটে গলগল করে রক্ত বেরতে শুরু করে। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা শুরুর আগেই জীবনের লড়াই থামিয়ে দেয় একরত্তি। আর এরপরেই শোকের ছায়া নেমে আসে শিশুর পরিবার-পরিজনের মধ্যে।
আর এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটার পরেই উঠছে নানান প্রশ্ন। রাজ্যে শব্দবাজি নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই কি করে মানুষ সদর্পে রাস্তার উপরেই ফাটিয়ে চলেছে শব্দবাজি? আর নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া শব্দবাজি বিক্রিই বা করছে কারা? ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবী তুলেছেন মৃত শিশুর পরিবার।