তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপির বিরোধীতায় এবং ছাত্র পরিষদকে শক্ত করতে বড় বার্তা দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ খবর আগেই ছিল। তবে এদিন একের পর এক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের নয়া নীতি, নাম ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পলিসি। এই পলিসি নিয়ে কেন্দ্রের টার্গেট, কয়েক লক্ষ কোটির সম্পত্তি বিক্রি করে মূলধন তৈরি করা।
এই ইস্যুতেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দেশের মাটি কি বিক্রি করা যায়? বিজেপি সরকার দানবীয়, তাণ্ডবীয় সরকার। বিজেপি সরকার অমানবিক সরকার। এই সরকার মানুষের কথা ভাবে না। ওঁরা গোটা দেশকে বিক্রি করার ছক কষছে। রেল স্টেশন, এয়ার ইন্ডিয়া, কয়লা সব বেচে দেবে কেন্দ্র। লাইফ ইনস্যুরেন্স, জেনারেল ইনসুরেন্স, রেল, কেন বিক্রি করবেন এসব? দেশের মাটি কি কখনও বিক্রি হয়? রেল কি বিজেপির জায়গা? তাহলে প্ল্যাকার্ডে লিখুন রেল বিজেপির জায়গা। এরপর তো জনগণকে কবে বলবেন নিজের চোখ, নাক, মুখ বিক্রি করে দিতে। আর কী কী বিক্রি করবেন?"
এরসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, "আজ ডিজেলের দাম কত? পেট্রলের দাম কত বাড়ল? গ্যাসের দাম কত বাড়ল? কোথায় গেল আপনার উজ্বলা? উজ্বলা কি আধার হয়ে গেল? সবাইকে উজ্জ্বলা দিন। সাংসদদের তহবিলের টাকা দেয় না, সরকারি কর্মীদের বেতন কেটে নেয়। এত টাকা কোথায় গেল?"
প্রসঙ্গত, আজ কয়লাকান্ডে সস্ত্রীক সমন পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, "দিল্লি সরকার যখন রাজনীতিতে আমাদের সঙ্গে পেরে ওঠে না, তখন এজেন্সি লেলিয়ে দেয়। মানবাধিকার কমিশনকে কলকাতায় পাঠায়। কিন্তু এসব রাজনীতির জায়গা নয়। রাজনীতি সেবার জায়গা, মানুষের কাজ করার জায়গা। কয়লা চুরিতে শুধু তৃণমূলকে দায়ী করলে হবে? কয়লার নিরাপত্তা CISF-এর দায়িত্বে। ভোটের সময় যত বিজেপি নেতা, মন্ত্রী এসেছিল এ রাজ্যে, তাঁরা আসানসোলে কোনও মাফিয়াদের হোটেলে ছিল, সব জানি। তাঁরা সবাই কয়লা চুরিতে জড়িত। একটা আঙুল দেখালে, আমরা ১০টা আঙুল দেখাতে পারি। একটা এজেন্সি দেখালে আমরা একগুচ্ছ প্রমাণ দেখাব। বিজেপির বন্ডে কত টাকা জমা পড়ে, কীভাবে টাকা আসে, সেসবের তদন্ত করুক ইডি।"