মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল এক তৃণমূল কর্মী। গত সোমবার মালদার ইংরেজবাজার এলাকার এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে হাত পা বেঁধে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে যৌন নির্যাতন করেছিল ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবারই নির্যাতিতার বাড়ি যান মালদা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সমগ্র পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবেন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার মৌসুমি দত্ত রায়।
বস্তুত, সোমবার মালদার ইংরেজবাজারে নিজের বাড়িতে দুপুরে শুয়ে ছিলেন ওই কিশোরী। চলতি বছরেই সে মাধ্যমিক দিয়েছে। অভাবের সংসার, বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী শেখ রায়জান এদিন ঘরে ঢুকে ওই কিশোরীর কপালে বন্দুক তাক করে বসে। এরপরই অভিযুক্ত নারকীয় অত্যাচার চালায় ওই ছোট্ট মেয়েটির উপর। চিৎকার শুনে লোক জড়ো হলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে বিছানা। মেয়েটি শুয়ে কাতরাচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শেখ রায়জানের দুই দাদা সিভিক পুলিশ, তারাই পালাতে সাহায্য করেছে রায়জানকে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, এর আগেও বহু নারীর উপর যৌন নিগ্রহ চালিয়েছে শেখ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি এবং এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, "তৃণমূলের কর্মী হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে"। অন্যদিকে এই বিষয়ে জেলায় আইন শৃঙ্খলা তলানিতে নেমেছে বলে দাবি তুলে তীব্র সমালোচনায় নেমেছে বিরোধীরা।