বর্তমানে 'রেড ভলেন্টিয়ার্স' (Red volunteers) কেবল একটা নাম নয়, বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে। সিপিএমের একুশের নির্বাচনের ভাঁড়ারে ঝুলি শূন্য হলেও কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেই এই দলের প্রতিনিধিরা। এবার 'রেড ভলেন্টিয়ার্স' 'প্রতিপক্ষ' সংগঠন হয়ে উঠতে চলেছে 'নীল ওয়ারিয়র্স' (Blue warriors) বলে তেমনটাই খবর। এলাকার উৎসাহী যুবক-যুবতীদের নিয়ে হাওড়া (Hpwrah) পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরী। ইতিমধ্যেই এলাকার জনা ১৭ যুবক-যুবতী তৈরি করে ফেলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের 'নীল যোদ্ধা' বাহিনী।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া জেলাতেও মাত্রাতিরিক্ত। আক্রান্তের নিরিখে বারবার টেক্কা দিয়েছে হাওড়া। এমন অবস্থায় বারবার কোভিড রোগীদের নানান বিপদের মধ্যে পড়তে হয়েছে। কখনও অক্সিজেনের অভাব, কখনও হাসপাতালে বেডের অভাবে হত্যে হয়ে পড়ে থাকতে হয়েছে। এমন অবস্থায় রেড ভলেন্টিয়ার্স বারবার মানুষের পাশে থেকেছে। তার চিত্র বারবার সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। এবার রেড ভলেন্টিয়ার্সের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের নীল ওয়ারিয়র্স হাওড়ার মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছে বলে খবর। কোভিড আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, অক্সিজেনের ব্যবস্থা, ওষুধ খাবার কোভিড আক্রান্ত বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে নীল ওয়ারিয়র্স টিম। ইতিমধ্যেই মানুষের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় এই নীল যোদ্ধা বাহিনী।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈকত চৌধুরীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হাওড়া তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী অরূপ রায়। এ বিষয়ে সৈকত চৌধুরীর বক্তব্য, অপর কোন রাজনৈতিক সংগঠনের কাউন্টার নীল ওয়ারিয়র্স নয়। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে এই সংগঠন তৈরি হয়েছে। মানুষের কাজ করতে গিয়ে এত সাড়া পাব ভাবতে পারিনি। ইতিমধ্যেই এই সংগঠনের কাজ যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে বলে সূত্রের খবর।