এবার উত্তরবঙ্গের পর দক্ষিণবঙ্গেও অজানা জ্বরের হানা। আক্রান্ত হচ্ছে একের পর এক শিশু। সূত্রের খবর, দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে বীরভূমে (Birbhum) জ্বরের প্রভাব অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেই সঙ্গে স্ক্রাব টাইফাস, শিশুর শ্বাসযন্ত্রে ভাইরাসের প্রকোপ অতি উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। গত কয়েক দিনে বোলপুর (Bolpur) মহকুমা হাসপাতাল এবং সিউড়ি (Siuri) হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যাটা বাড়ছে বলে সূত্রের খবর। কেবল বীরভূমেই শিশুদের জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর।
উল্লেখ্য, শিশুদের এই জ্বরে আক্রান্তের ঘটনায় চিন্তার কোন কারণ নেই জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মূলত আবহাওয়া বদলের ফলেই প্রতি বছর এই ঘটনা ঘটে। তবে এ বছর এই সংখ্যাটা তুলনায় বেশি। যদিও ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবন এই বিষয় মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গোটা রাজ্যে কোন জেলায় শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা কেমন, জেলার হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির সার্বিক পরিকাঠামোই-বা কী অবস্থায় আছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে চালু হয়েছে 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর'। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি হয়েছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। তাঁদের নির্দেশেই চলবে জরুরিকালীন ভিত্তিতে এই পরিষেবা।
অন্যদিকে, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে এক ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্র মারফত খবর, সাধারণ জ্বর এবং সর্দিকাশিতে শিশুদের এমন ইঞ্জেকশন দেওয়া হল যে প্রায় ১৫ টি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরফলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। এমনকী অনেক অভিভাবক অনুমতি ছাড়াই তাঁদের শিশুদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করে নিয়ে যান। হাসপাতাল চত্বরে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের সাহায্য নিতে হয় বলেও খবর।
সূত্রের খবর, জ্বর ও সর্দিকাশির সমস্যা নিয়ে প্রায় ৪৫ জন শিশু দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, সেই শিশুদের উপর এমন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় যে বেশ কিছু শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকদের একাংশ। অনেকেই অনুমতি না নিয়েই হাসপাতাল থেকে তাঁদের শিশুদের নিয়ে চলে যান বলে সূত্রের খবর। যদিও যারা হাসপাতালে ছিল, তারা সুস্থ আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।