এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্য! মণ্ডপ প্রস্তুত, বাড়িতে আত্মীয়দের সমাগমে আলোর রোশনাই, বরযাত্রী উপস্থিত, বিয়ের পর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে, আচমকাই মণ্ডপে হাজির পুলিশ। সঙ্গে এলাকার বিডিও। পাকড়াও বর, আর বেগতিক বুঝে বরপক্ষের অন্যান্যরা দিলেন চম্পট। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পটাশপুর।
সূত্রের খবর, পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের ঝরিয়া গ্রামের সৈকত মাইতির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কেকুই গ্রামের এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়। কন্যার বয়স আঠারো বছর হয়নি। দুই পরিবারের মধ্যে এই বিয়ে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। আর তখনই গ্রামের মাতব্বরদের মধ্যস্থতায় বিবাহ ঠিক হয়। সেই মোতাবেক সবকিছুই প্রস্তুত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়ি সংলগ্ন একটি মন্দিরে বিয়ের আসর বসে। সবকিছুই যখন ঠিকঠাক, তখনই সেই মণ্ডপে হানা দেয় স্থানীয় এলাকার পুলিশ। সঙ্গে এলাকার বিডিও। তৎক্ষণাৎ সৈকত মাইতিকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তার বাড়ির লোকজন কিংবা গ্রামের মাতব্বররা গা ঢাকা দিয়েছেন।
বুধবার ধৃত সৈকত মাইতিকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ধৃতের পরিবারের লোকজনদের খোঁজ চালাচ্ছে। নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সেই নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হয়েছে। এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, এই সব এলাকায় আকছার এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। ক'টাই-বা আটকানো সম্ভব হচ্ছে। অধিকাংশই পুলিশ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। এইসব ঘটনার বিরুদ্ধে জোরাল পদক্ষেপ প্রয়োজন।