সন্তান চিকিৎসাধীন একটি বেসরকারি হাসপাতালে (Private Nursing Home)। মা আছেন সন্তানের পাশে সন্তানের দেখভালের জন্য। আর সেই মাকেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সেই বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের। দশমীর রাতে এই বিষয় নিয়ে তুমুল উত্তেজনা দেখা গেল হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? নিগৃহীতা মহিলার অভিযোগ, দিন কয়েক আগেই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কাছেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর শিশুকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। শিশুর সঙ্গে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই ওই হাসপাতালের এক কর্মী সেই ঘরে ঢুকে গৃহবধূর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। মহিলার আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করেন অভিযুক্ত। পরিস্থিতি আঁচ করে তিনি চিৎকার করেন এবং অভিযুক্তকে টেনে চড় কষান। এরপর তিনি পুরো ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানান। সেই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। যদিও মহিলার অভিযোগ, হাসপাতাল প্রথমে এই ঘটনায় কর্ণপাত করেনি, এমনকী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি। এই ঘটনার পর এই বেসরকারি হাসপাতালের সামনে পরিবারের লোকজন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিল নিয়ে সমস্যা হয় বলে এই ঝামেলা। ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অন্যদিকে দশমীর রাতেই পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয় এক অচৈতন্য মহিলাকে। সূত্রের খবর, তিনি দশমীর সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজ শুরু করেন। সেই সময় জঙ্গলের ধার থেকে সেই অচৈতন্য মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। মহিলার বন্ধুটি বেপাত্তা। মহিলাকে কি ধর্ষণ করে এইভাবে ফেলে রেখে পালায় সেই বন্ধু, এই নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
সূত্র মারফত খবর, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার বেশ কয়েক বছর আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই তিনি বাপের বাড়িতে থাকতেন। ওই মহিলার দু'টি সন্তানও আছে। এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় ওই মহিলার। সেই যুবকের সঙ্গেই দশমীর সন্ধ্যায় তিনি ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন বলে খবর। এরপর কীভাবে তিনি জঙ্গলের মধ্যে গেলেন কিংবা ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কী না সব বিষয়ই এখন ধোঁয়াশা। মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সেই বন্ধুর এখনও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে দিল্লির এইমস ক্যাম্পাসের মধ্যেই ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগ করেছেন খোদ একজন চিকিৎসক। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে একটি জন্মদিনের পার্টি চলাকালীন তাঁকে ধর্ষণ করে ওই হাসপাতালের আর এক চিকিৎসক। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্তের তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।