স্বামী কর্মসূত্রে থাকেন বাইরে। পরকীয়ার জড়িয়ে পড়েছেন মহিলা। পথের কাঁটা একরত্তি কন্যা সন্তান। উপায় না পেয়েই নিজের বছর দুয়েকের কন্যা সন্তানকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে গোটা ঘটনাটাই অস্বীকার করেন সেই মহিলা। বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীদের বলেন লেপ জড়িয়ে মৃত্যু হয়ে সেই শিশুর। যদিও গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পরিবারে শোকের ছায়া। অভিযোগ পরকীয়ার বাধা সরাতেই নিজের বছর দুয়েকের কন্যা সন্তানকে খুন করেছেন সেই মহিলা।
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পিংলা থানার বাখনাবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরবাড় গ্রামের। এই গ্রামেই ঘটেছে এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি। অভিযুক্ত মা পূজা জানা প্রথমে জানান শিশুটি দুপুরের রোদে লেপের উপর খেলছিল। পরে লেপে জড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছে। যদিও গোটা ঘটনায় সকলের সন্দেহ হয়। লেপে জড়িয়ে মৃত্যু হতে পারে কেউ বিশ্বাসই করেননি। এরপর অভিযুক্ত মা পূজাকে সকলে জেরা করতে শুরু করেন। জেরায় আসল সত্য উঠে আসে। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পূজা স্বামীর অনুপস্থিতিতে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। মোবাইলে প্রেমিকের সঙ্গে বার্তালাপ করছিলেন। তখনই একরত্তি শিশু স্তন্যপান করছিল। মা নাকি বিরক্ত হয়ে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে।
পাড়ার লোকজন চেপে ধরতেই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসা। পূজার স্বামী কর্মসূত্রে আন্দামানে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে পূজা স্থানীয় এক যুবক দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলার জন্য নাকি নিজের গহনা বিক্রি করে মোবাইল ফোনও কিনেছেন। অভিযুক্ত পূজার বোনও স্বীকার করেছেন দিদির পরকীয়া সম্পর্কের কথা। তবে পরকীয়ার কাঁটা সরাতে গিয়ে যে এভাবে বছর দুয়েকের একরত্তি শিশুর প্রাণ খোয়াতে হবে, কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি। অভিযুক্ত পূজা এবং দেবাশিস মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।