ফের অমানবিক ঘটনা পূর্ব বর্ধমানে। পর পর কন্যাসন্তান হওয়ায় বধূর উপর লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে শেষ পর্যন্ত খুন করার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। গতকাল এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মেমারির কন্দর্পপুর গ্রামে। মৃত বধূর নাম শাশ্বতী কর্মকার। বয়স ৩১। ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মেমারি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন শাশ্বতীর বাবা শ্যামলকুমার ঘোষ। সূত্রের খবর, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি এবং স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে স্বামী বিশ্বজিৎ সরকারকে। পুলিশ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৪ আগে শাশ্বতীর সঙ্গে বিশ্বজিতের বিয়ে হয়। তাঁদের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড়ো মেয়ের বয়স ১১, এবং ছোট মেয়ের বয়স ৩। মৃতের বাবার অভিযোগ, দ্বিতীয়বার কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে তাঁর মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু হয়। এই নিয়ে নাকি বাবার কাছে অনেকবার জানিয়েছিলেন শাশ্বতী। এরপর দুই পরিবার একসঙ্গে বসে মিটমাটের হতে, সাময়িক ভাবে নির্যাতন বন্ধও হয়। তবে ফের উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। চলে মারধর। এমনটাই অভিযোগ মৃতের বাবার।
তাঁর আরও অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে বিশ্বজিৎ (স্বামী) ফোন করে বলে, 'আপনাদের মেয়ে মারা গিয়েছে।' তিনি আরও বলেন, "রাতেই মেমারি-২ ব্লকের পাহাড়হাটি হাসপাতালে গিয়ে দেখি মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। কপালে ক্ষতচিহ্ন ও গালে কালশিটের দাগ রয়েছে। আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত। পুলিশে অভিযোগ করেছি। কন্যাসন্তান হওয়ার কারণেই মেয়ের উপর নির্যাতন চালাতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শেষ পর্যন্ত ওরা মেরেই দিল আমার মেয়েকে।"