সিপিএমের (CPIM) অন্দরে এখন পরিবর্তনের জোয়ার এসেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সম্মেলনের পর্ব মিটে গেলেই বদলে যেতে পারে পার্টির খোলনলচে। সিপিএমের বিমান বসু (Biman Basu), সূর্যকান্ত মিশ্রদের (Suryakanta Mishra) মতো বর্ষীয়ান নেতাদের হয়তো-বা সরে দাঁড়াতে হতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর পড়তে চলেছে বলে সূত্রের খবর। দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্বে নতুনদের সামনে আনতে চাইছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। বিভিন্ন বিভাগে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা। তাই সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সিপিএমের মধ্যে বেশ কিছু নতুন মুখ সামনের সারিতে আসতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৭৫ বছর। আলিমুদ্দিন আরও তিন বছর কমিয়ে ৭২ বছর করতে চাইছে বলে খবর। আর জেলা কমিটিতে অবসরের বয়স ৭০ বছর করার ভাবনা-চিন্তা চলছে। একইভাবে এরিয়া কমিটির ক্ষেত্রে ৬৫ বছর। এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি রাজ্য কমিটিতে বয়স ৬০-এর মধ্যে করার কথা আগেই বলেছে আলিমুদ্দিন। কেন্দ্রীয় কমিটির তিন দিনের বৈঠকের পর দু'দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে তারুণ্যকে জোর দিতে চাইছে আলিমুদ্দিন বলে তেমনটাই খবর। দলের অন্দরে বিভিন্ন ক্ষোভ-বিক্ষোভের পর তরুণদের জায়গা করে দিতে সবাই সহমত পোষণ করেছেন। খুব শীঘ্রই সিপিএমের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য দায়িত্বে তরুণদের বসানো হবে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, একুশের নির্বাচনের সময় সিপিএমের 'বিজেমূল' শব্দবন্ধ ব্যবহার নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কীভাবে এল এই বিজেমূল তত্ত্ব তা রীতিমতো ব্যাখ্যা করতে হয়েছে সূর্যকান্ত মিশ্রদের বলে সূত্র মারফত খবর। এমনকী সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে এক সারিতে বসিয়ে বিরোধিতা করাটা ভুল হয়েছে। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে কোভিড বিধি মেনে দু'দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে সিপিএমের নেতাদের। এই বৈঠকে উপস্থিত সীতারাম ইয়েচুরি তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্য কমিটির বিভিন্ন সিদ্ধান্তে। তৃণমূল এবং বিজেপিকে এক সারিতে বসিয়ে সিপিএমের প্রচার যে চূড়ান্ত ভুল ছিল, তা এককথায় সকলেই স্বীকার করেছেন বলে সূত্রের খবর।