বিমানবন্দর বা জাহাজবন্দর নয়, এবার সোনা পাচার চলছিল লোকাল ট্রেনেও। শিয়ালদহ বনগাঁ শাখার ট্রেন থেকে বিরাটি স্টেশনে দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ হাতেনাতে পাকড়াও করা হল দশ জন সোনার পাচারকারীদের। প্রত্যেকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি করে সোনার বার, অর্থাৎ মোট চল্লিশটি বার উদ্ধার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। মোট প্রাপ্ত সোনার ওজন প্রায় ৪ কেজি ৬৬৪ গ্রাম যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় দু কোটি পনেরো লক্ষ টাকা। কিন্তু কীভাবে কোথা থেকে এলো এত সোনা? কারাই বা এর মূল চক্রী?
প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে জানা গেছে গ্রেফতার হওয়া পাচারকারীদের প্রত্যেকেই উত্তর চব্বিশ পরগণার বাসিন্দা। সোনার বারগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং দেখা গেছে কোনোটিই দেশীয় নয়, বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে, তা স্পষ্ট। ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, বারাসাতে একটি প্রিভেন্টিভ শাখা রয়েছে তাদের এবং লোকাল ট্রেনে সোনা পাচারের ব্যপারে অগ্রিম ইঙ্গিত পান তারা। বাংলাদেশের সীমানা দিয়ে গুপ্তপথে এখানে সোনা পাচার চলছে, এমনটাই সন্দেহ শুল্ক দফতরের কারণ সেগুলো বনগাঁ থেকে শিয়ালদহের দিকে আসছিল। কলকাতায় কে বা কারা এই কাজে লিপ্ত, পাচারকারীরাই বা কোথায় আসছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাচারকারীরা এখনো পুলিশের হেফাজতে। দিনে দুপুরে লোকাল ট্রেনে কোটি কোটি টাকার সোনা পাচারের মতো দুঃসাহসিক ঘটনায় তাজ্জব পুলিশকর্মীরাও।