বছর কয়েক আগেও তিনি নাকি রঙের মিস্ত্রির কাজ করতেন। থাকতেন টালির ঘরে। আচমকাই রকেট গতিতে উত্থান। শহর কলকাতায় ৮ থেকে ১০ টি ফ্ল্যাট, নিউটাউনে ভিলা, বাংলো, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল, রিসর্ট, চা বাগান কী নেই! বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। রাতারাতি ভোলবদল অবাক করেছিল সকলকেই।
শিক্ষক দুর্নীতির 'মিডলম্যান' প্রসন্ন কুমার রায় ওরফে পি কে রায়ের এবার দু'টি জায়গায় হোটেল এবং রিসর্টের সন্ধান মিলল। নিউ দিঘায় হোটেল, উত্তরবঙ্গে রিসর্ট। একটি নয় একাধিক। বছর কয়েক আগেও যিনি থাকতেন টালির চালার ঘরে, তিনি বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মালিক। দেশ-বিদেশের হেভিওয়েট লোকজনদের সঙ্গে ছিল রীতিমতো ওঠা-বসা। রাতারাতি রকেট গতিতে উত্থান সকলের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল।
সূত্রের খবর, নিউ দিঘায় 'হোটেল মিলি'-র প্রকৃত মালিক জনৈক পি কে রায়। যদিও এই পি কে রায় প্রসন্ন কুমার রায় কী না এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ মালিক তো আর সাধারণ মানুষ নন। দেখাই মেলে না। যদিও একটি বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইনিই প্রসন্ন কুমার রায়। কয়েক কোটি টাকা দিয়ে এই হোটেল কিনেছিলেন বছর তিনেক আগে। বর্তমানে এই হোটেলে ওঠেন যথেষ্ট নামীদামি লোকজন। কীভাবে, কোথা থেকে এত টাকা রাতারাতি এল তাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
উত্তরবঙ্গে মিলেছে কয়েকটি রিসর্ট। যেগুলোর মালিক খাতায়-কলমে পি কে রায়। সঙ্গে মিলেছে চা বাগান। একজন রঙের মিস্ত্রির এমন রাতারাতি উত্থান চমকপ্রদ। গোয়েন্দাদের একাংশের অভিমত, এই হোটেল, রিসর্টের সঙ্গে শিক্ষক দুর্নীতির সম্পর্ক রয়েছে। শিক্ষক দুর্নীতির টাকায় তৈরি হয়েছে এমন টাকার পাহাড়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন কুমার রায়ের সম্পত্তি দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের।