দিলীপ ঘোষকে সম্প্রতি সেন্সর করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জে পি নাড্ডার নির্দেশে পাঠানো চিঠিতে লেখা ছিল, মিডিয়ার সামনে যেন মুখ না খোলেন দিলীপ ঘোষ। আর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন তথাগত রায়। শুধু তাই নয় ট্যুইট করে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান নেতা। দিলীপ ঘোষ ও তথাগত রায় এরা যেন বিতর্কের অপর নাম। দুজন মুখ খুললেই নিত্যনতুন কন্ট্রোভার্সি তৈরি হয়। এই দুই মহীরথীর যদি এবার ট্যুইটদ্বন্দ্ব বাঁধে তাহলে রক্ষে নেই!
কি লিখলেন তথাগত? ট্যুইটে লিখলেন, "কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে দেরিতে হলেও সঠিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে আমি দলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করব না। নিজের ‘ঠোঁটকাটা’ ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই টুইটারের বায়ো পরিবর্তন করছি। ভারত মাতা কী জয়!" যদিও এখানে দিলীপের নামোল্লেখ একবারও করা হয়নি তবে এই মন্তব্য বা টুইট দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার জনৈক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে বসে একের পর এক বিতর্কিত গুগলি বাউন্সার ফেলতে থাকেন দিলীপবাবু। সাক্ষাৎকারে বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ উঠে আসলে তিনি নাম ধরে ধরে নিজের দলীয় কর্মীদেরই দোষারোপ করতে থাকেন। নিজের ঘাড় থেকে সমস্ত বোঝা ফেলে খুঁত ধরেন সাম্প্রতিক দলবদলু নেতাদের। বাবুল সুপ্রিয়র তুলোধনা করার পাশাপাশি শিল্পীদের রগড়ে দেওয়ার কথা ফের উঠে আসে তার মন্তব্যে। পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। দলের একের পর এক নেতাদের শব্দবানে ঘায়েল করার ফলে যারপরনাই ক্ষুন্ন রাজ্য নেতৃত্ব। আপাতত কেন্দ্রের নির্দেশে কিছুদিন মুখে কুলুপ থাকবে দিলীপের সেটাই আশার!