আজকের আইপিএলে কেকেআর (KKR) এবং রাজস্থান রয়্যালস (RR) দু'টি দলই জিততে মরিয়া। একদিকে রাজস্থান রয়্যালসের চূড়ান্ত ফর্ম, অপরদিকে কেকেআরের পরপর দু'টি ম্যাচে হার - দু'টি দলের জয়ের তাগিদ প্রবল। টসে জিতে কলকাতা প্রথমে রাজস্থানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। জশ বাটলারের (Jos Buttler) দুরন্ত সেঞ্চুরিকে ভর করে রাজস্থানের সংগ্রহ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২১৭। এই আইপিএল সিজিনের সর্বোচ্চ স্কোর।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কলকাতার বোলারদের নাকানি-চোবানি অবস্থা। কলকাতার আগের ম্যাচের মতোই বোলিং ব্যর্থতা চোখে পড়ার মতো। বাটলারের সেঞ্চুরি, সঞ্জু স্যামশনের ১৯ বলে ৩৮, সিমরন হেটমিয়ারের নট আউট ১৩ বলে ২৬ নিয়ে রাজস্থানের নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোর ২১৭। কলকাতার একমাত্র সফল বোলার সুনীল নারাইন। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট।
পরপর দু'টি ম্যাচ হেরে কলকাতার (KKR) আজকের ম্যাচ জিততেই হত। হয়তো অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) দলের সতীর্থদের এমনই বার্তা দিয়েছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে প্রতিটি ম্যাচে নিজের সেরাটা দিয়েছেন। কিন্তু কলকাতার ওপেনিং বরাবরই ভুগিয়েছে। আর আজকের ম্যাচে কিছুটা চমকই। হয়তো প্রতিপক্ষ রাজস্থান রয়্যালস (RR) এতটা আশাও করেনি। ওপেনিং জুটি অ্যারন ফিঞ্চ (Aaron Finch) এবং সুনীল নারাইন (Sunil Narine)। যদিও ট্রেন্ড বোল্টের প্রথম বলেই রান আউট। যদিও পরে অ্যারন ফিঞ্চ এবং অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের অনবদ্য ইনিংসে প্রতিবারের পাওয়ার প্লে-র স্লো রানরেটের বদনাম ঘুচিয়েছে কলকাতা।
কিন্তু আইয়ার ফিঞ্চের আউটের পরেই ঝড়ের মতো পরপর উইকেট হারাল কলকাতা। একমাত্র নীতিশ রানা (Nitish Rana) ছাড়া কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারল না। এদিকে রাজস্থানের স্টার বোলার যুজবেন্দ্র চহাল (Yuzvendra Chahal) করল হ্যাটট্রিক। চার ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৫ উইকেট। এরপরেই উমেশ যাদবের (Umesh Yadav) চমক। বলে ব্যর্থ তো কী হয়েছে, ব্যাটিংয়ে চমক উমেশ যাদবের। তবে কেকেআরের লড়াই ব্যর্থ হল। ৭ রানে ম্যাচ জিতল রাজস্থান রয়্যালস।