এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) হাতে পাননি, অথচ কার্ড থেকে চিকিৎসা খরচ বাবদ কেটে নেওয়া হয়েছে ৩৭ হাজার টাকা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ঘিরে এমন ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
মহিষাদলের বাসিন্দা শঙ্কর মান্না। পেশায় তিনি গাড়ির মিস্ত্রি। নিজের ফোনে আচমকাই একটি মেসেজ দেখে চমকে ওঠেন। মেসেজে লেখা স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং সেই বাবদ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, দিন কয়েক আগেই তাঁর মোবাইলে মেসেজ এসেছিল তিনি তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অপারেশনও হয়েছে। আর এবার মেসেজ এল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে চিকিৎসা খরচ বাবদ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। মেসেজ দেখেই তো তিনি থ। তিনি কোন নার্সিংহোমে ভর্তি হননি। তাহলে এমন ঘটনা ঘটল কীভাবে? গোটা বিষয়টি নিয়ে ধন্ধে শঙ্কর মান্না।
এমনিতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কার্ড থাকা সত্ত্বেও অনেকেই সুযোগ পান না বলে বহুবার অভিযোগ উঠেছে। অনেক হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে মহিষাদলের বাসিন্দা শঙ্কর মান্না এখনও হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পান নি। তারপরও এমন ঘটনা কীভাবে সম্ভব হল, তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
সূত্রের খবর, ঘটনার পর শঙ্কর মান্না তমলুকের সেই নার্সিংহোমে যোগাযোগ করেছিলেন, যদিও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে খবর। সাধারণত স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ক্ষেত্রে কয়েক দফা যাচাইয়ের পর টাকা মেলে। কার্ড গ্রাহকের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে কার্ডের প্রক্রিয়া শুরু হয়। অপারেশন থেকে শুরু করে রোগীর বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়াটি চলে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে। এমন ঘেরাটোপের মধ্যেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। আর শঙ্কর মান্নার সহাস্য বক্তব্য, তিনি কখনও কোন হাসপাতালে ভর্তি হননি, এমনকী গুরুতর অসুস্থও হননি, অথচ তাঁর নামে অস্ত্রোপচার হয়ে গেল, টাকাও তোলা হয়ে গেল, ভাবলেই কেমন যেন গল্পের মতো লাগছে!