প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেল থেকে লেখা চিঠিতে সুদীপ্ত সেন উল্লেখ করেন যে শুভেন্দু অধিকারী সহ পাঁচজন প্রথম সারির নেতাকে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি। এইরূপ বক্তব্যসহ চিঠি আদৌ কতটা সত্য তা যাচাই করতে সিবিআই ডিরেক্টরের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু।
সারদাকালীন সময়ে কাকে কত টাকা দেন তাও স্পষ্ট জানান ওই চিঠিতে। সুদীপ্ত সেনের মতে শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ৯ কোটি, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে ২ কোটি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ৬ কোটি অর্থসাহায্য করেছেন। মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ থাকলেও টাকার পরিমাণ উল্লিখিত নেই। অধীর চৌধুরী ও সুজন চক্রবর্তী এসব দাবি অবশ্য ভিত্তিহীন ও হাস্যকর বলে একপ্রকারে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে 'দাদার অনুগামী'রা অবশ্য একে শুভেন্দুর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার এক ব্যর্থ প্রচেষ্টা বলেই মনে করেন। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ আদালতের সাথে বিষয়টি যুক্ত করেন যদিও তার আইনজীবী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে চান কারণ এই চিঠিতে সুদীপ্ত সেন হিসাবের বাইরে গিয়ে নগদের কথা বলেছেন।