একেই বাংলায় বিজেপির আসন টলমল। তার উপর বিধানসভা নির্বাচনে জেতা কেন্দ্র শান্তিপুরে ফের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কার্যত ‘জনশূন্য’ জনসভা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর হেভিওয়েট নেতার জনসভা ফাঁকা থাকার কারন জানতে চাওয়ায় শুভেন্দুর রোষানলে পড়লেন জনৈক সাংবাদিক। সকলের সামনেই সাংবাদিককে ‘চটি-চাটা’ বলে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
রাজ্যে আরও চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি। সেই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি নদীয়া জেলার শান্তিপুর। আগামী ৩০ তারিখ শান্তিপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন। শুক্রবার এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জনা বিশ্বাসের সমর্থনে একটি জনসভার আয়োজন করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। সেই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ শুভেন্দু অধিকারী। তবে এতো বড় মাপের নেতা আসার পরেও জনসভা কেন্দ্র করে জনগনের মধ্যে দেখা গেল না কোনও উন্মাদনা। বরং কার্যত জনশূন্য সভাস্থলেই বক্তৃতা দিতে হল শুভেন্দুকে।
এদিন জনসভা শেষ হওয়ার পরে এক সাংবাদিক শুভেন্দুবাবুর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, সভাস্থল ফাঁকা কেন? আর এই প্রশ্নেই মেজাজ হারান শুভেন্দু। সাংবাদিককে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কোন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক? সংবাদসংস্থার নাম শুনেই তিনি বলেন, ‘এসব চটি-চাটা সাংবাদিক’। আর এই ‘চটি-চাটা’ মানে যে রাজ্য সরকারের চাটুকার, সে বিষয়ে দ্বিমত পোষণের কোনও অবকাশ থাকে না। এদিকে তাঁর এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিস্তর জলঘোলা। জননেতার শব্দচয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিন্দায় সরব হয়েছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
যদিও এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, জেতা বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত জনসভা এত ফাঁকা কেন? সাধারন নাগরিক তো দুর অস্ত, অধিকাংশ কর্মীরাই অনুপস্থিত দলীয় জনসভায়। আর এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে খোদ বিজেপির অন্দরেই। তাহলে কি আরও একটা জেতা কেন্দ্র এবার হারানোর পথে বিজেপি! তবে সেসব ধারনা নস্যাৎ করে শুভেন্দুর দাবী, আসন্ন উপনির্বাচনে বিজেপির বাজিমাত করার বিষয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী তিনি। পাশাপাশি ফাঁকা জনসভার অজুহাতে তিনি এদিন বলেন, কোভিড বিধি মেনে জনসভা করেছে বিজেপি। সেখানে অতিরিক্ত মানুষের সমাবেশ বাঞ্ছনীয় নয়।