তৃতীয় দফা নির্বাচনে এবারে জেলাশাসক এবং পর্যবেক্ষকদের ওয়েব কাস্টিং এবং সিসিটিভির ব্যাপারে আরো বেশি সচেতন থাকার পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশন।। দ্বিতীয় দফায় অভিযোগ উঠেছিল, নন্দীগ্রাম সহ একাধিক বুথে ইচ্ছাকৃতভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে করে দিয়ে যাওয়ার পরেও, ভোটের সময় এই সিসিটিভি ক্যামেরার অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতি সতর্কতার অভিযোগ ওঠে বেশ কিছু জায়গায়। তারপরই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি জায়গাতে ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে সবথেকে হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের বয়ালে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরে সেই বিক্ষোভ থেকে বেরিয়ে আসার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেবার মতো অভিযোগ আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন কে চিঠি দেওয়া হয় এই মর্মে। এই চিঠি পাবার পরে নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্ত, তৃতীয় দফার নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া কোন জাওয়ান বুথে ঢুকতে পারবে না। এছাড়াও ভোটারদের পরিচয় পত্র দেখার জন্য ফাস্ট পোলিং অফিসার রাখা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জেলাশাসক এবং পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ওয়েব কাস্টিং নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন সুদীপ জৈন।