এবারে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হলো রাজ্য সরকারের কাছে। এই নতুন নির্দেশিকায় রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি রাখা হয়েছে, যেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আয়োজিত টিকা শিবিরে রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির স্বেচ্ছাসেবকদের কাজে লাগায় রাজ্য সরকার। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাকরণের পরিকাঠামো গড়ে তোলার আবেদন নিয়ে করা মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এই নির্দেশ দিলেন।
তিনি বললেন, টিকাকরণের কাজে রাজ্যকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি। এই মর্মে ওই অথরিটির সদস্য সচিবকে একটি অতিরিক্ত নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তার পাশাপাশি, প্রত্যন্ত গ্রামে টিকাকরণের আয়োজন করা হলে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধ মানুষদের করোনা ভাইরাসের টিকা পেতেও সুবিধা হবে বলে বক্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের। সঙ্গেই, টিকাকরণ সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ নিয়ে সমস্ত পক্ষের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, এবার থেকে সমস্ত পক্ষের অভিযোগ জমা করতে হবে অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে এবং আদালতে। তারপর বিষয়গুলি ভালো করে খতিয়ে দেখে রাজ্য স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে।
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাসে মৃতদের ক্ষতিপূরণের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে, সেই ব্যাপারে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রসঙ্গে, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, 'নির্দেশ মেনে জেলা থেকে নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরে।' পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ওয়েবসাইট তৈরি করার সমস্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।