সারা দেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে একটু হলেও ভালো রয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে, রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং অক্সিজেনের ঘাটতি কমানোর জন্য বর্তমানে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্য সচিব ও মুখ্যসচিব একসঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন। রাজ্যের তরফ থেকে সেই বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে কোন রকমের অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। নবান্ন জানিয়েছে, প্রিন্সিপাল এবং সুপাররা প্রয়োজনে জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের পাইপলাইন তৈরি করতে পারবে। আর সেই পাইপ লাইনের সমস্ত খরচ বহন করবে নবান্ন।
এছাড়াও নবান্নের তরফ থেকে ১০৫টি হাসপাতলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৫ মের মধ্যে আরও ৪১ হাসপাতালে এই পাইপলাইন পরিষেবা চালু করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। এছাড়াও রাজ্যে আরো ৫৫টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করার কথা চিন্তা করছে নবান্ন কর্তৃপক্ষ।
নবান্ন জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তদের অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কিছু কিছু হাসপাতালে। এখনো পরিস্থিতি ততটা হাতের বাইরে চলে যায়নি, তাই অক্সিজেনের কালোবাজারি রোখার জন্য সব দিক বিচার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আরো সাতটি অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বারুইপুর, ক্যানিং, জয়নগর, ডায়মন্ডহারবার সহ বিভিন্ন হাসপাতালে এই ধরনের অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা করছে নবান্ন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও বজবজে অবস্থিত অক্সিজেন প্লান্ট চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করার মত পরিকল্পনা গড়ে তুলেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় একটি অক্সিজেন প্লান্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছে নবান্ন কর্তৃপক্ষ।