কেবল চাকরি পাওয়া নয়, 'প্রভাব' খাটিয়ে বাড়ির পাশে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠল এবার পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠেছে অঙ্কিতা অধিকারীর বাড়ির পাশে চাকরি কি আদৌ নিয়ম মেনে হয়েছিল? সিবিআই তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ করা স্কুলের তালিকা অনুযায়ী অঙ্কিতা অধিকারী চাকরিতে যোগ দেননি। যদিও গোটা বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।
সূত্রের খবর, অঙ্কিতা অধিকারী দ্বিতীয় কাউন্সেলিং-এ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ পান। মোট ১৩ টি স্কুলের নাম অঙ্কিতা অধিকারীর জন্য সুপারিশ করা হয়। তাতে ছিল বর্ধমান, পুরুলিয়া, পশ্চিম এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দু’টি করে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার চারটি ও বাঁকুড়ার একটি স্কুলের নাম। সূত্র মারফত আরও খবর, তিনি নাকি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ী স্কুল বেছে নিয়েছিলেন। যদিও সেই স্কুল থেকে যায় খাতায়-কলমে। যোগ দিয়েছিলেন বাড়ির পাশের ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে। এখন প্রশ্ন উঠেছে আদৌ কি সেই স্কুলে শূন্যপদ ছিল? সিবিআই তদন্তে উঠে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এদিকে এসএসসি মামলার মামলাকারী ববিতা সরকার সিবিআই দফতরে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি জমা দিয়েছেন জরুরী তথ্য। তিনি চান, তদন্তের স্বার্থে তিনি সবধরণের সাহায্য করতে প্রস্তুত। দুর্নীতির মুখোশ খুলে দিতে তৎপর সিবিআই। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় আরও প্যাচে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী, বলছেন রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। অভিযোগ মেধা তালিকায় নাম ছিল না তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে হঠাৎ-ই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতেই রাতারাতি তাঁর মেয়ের নাম মেধা তালিকায় সবার উপরে চলে আসে। এমনকী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী নাকি ইন্টারভিউও দেননি। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এসেছিল। এবার আরও অভিযোগ, মন্ত্রীর 'প্রভাব' খাটিয়ে মেয়েকে বাড়ির পাশে চাকরি করিয়ে দেওয়ার।