কোন রকম ড্রেস কোড না থাকলেও অনেকের মতে, সরকারি অফিসে পুরুষ কর্মীরা বা পরিষেবা গ্রহণকারীর পুরুষেরা বারমুডা বা হাফ প্যান্ট পরে চলে আসছে, সেটা খুব একটা সমীচীন দেখায় না। আর এবারে সেই বিষয়টিকে নিয়ে তোলপাড় রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভা। হাফপ্যান্ট কিংবা এ জাতীয় পোশাক পরে কাজ করতে চলে আসছেন পুরুষরা। দেখা যাচ্ছে পায়ের অর্ধেকটা। আর তাতেই অস্বস্তি বাড়ছে মহিলা কর্মীদের। এবারে এই অভিযোগে নতুন একটি পোশাক ফতোয়া জারি হল রাজপুর সোনারপুর পৌরসভায়। পৌরসভার বাইরে ঝুলানো হলো নোটিশ। তাতে লেখা, 'অশোভনীয় কিংবা দৃষ্টিকটু পোশাক পরে পৌরসভায় প্রবেশ করা নিষিদ্ধ।' এই নোটিশ এর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া মাত্রই বিতরকের সূত্রপাত। অনেকেই বলছেন পোশাকের উপর এরকম ফতোয়া জারি করা কার্যত এক প্রকার বিধিনিষেধ আরোপ করার মত।
তাদের এই নোটিশ এর পাল্টা রাজপুর সোনারপুর পৌরসভায় প্রশাসক পল্লব দাস জানিয়েছেন, "সরকারি অফিসে এমন পোশাক পরা উচিত নয় যা দেখতে দৃষ্টিকটু। সেই জন্য এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে বিতর্কে কোন ব্যাপার নেই।" প্রায় সকলেই জানিয়েছেন, গত দিন পাঁচেক আগে পুরসভার গেটে এই নোটিশ লাগানো হয়েছিল এবং তার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভা অফিসে অনেকেই বারমুডা, হাফ প্যান্ট পরে বিভিন্ন রকম নাগরিক পরিষেবা নিতে আসছিলেন।
সেই অবস্থাতে অনেকে পায়ের ওপর পা তুলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকছেন। যার ফলে শুধুমাত্র পুরো কর্মীরা নন পরিষেবা নিতে আসা মহিলাদের অনেক অস্বস্তি হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন। এই কারণেই এই নিয়ম জারি করা হয়েছে বলে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার তরফ থেকে নিয়ম জারি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে এই তথাকথিত নিয়মবিরুদ্ধ পোশাক পরে এলে পুরসভার গেট থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে। কিন্তু ব্যাপারটি সোশ্যাল মিডিয়াতে সকলের কাছেই অত্যন্ত বিরক্তের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা পূর্বভাগের সভাপতি সুনীপ দাস বলেছেন, "তালিবানের মত ফতোয়া আরোপ করেছে পুরসভা। এলাকায় কাজের ব্যাপারে পুরসভার দেখা মেলে না। অকারণ নোটিশ দিয়ে মানুষের কাজে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারলেই বাঁচে এরা।"