খেলতে গিয়ে সাড়ে তিন বছরের শিশুর হাতে ঢুকে গেছিল কাস্তের ধারালো ফলা। বিপজ্জনকভাবে হাতে ঢুকে থাকা সেই ধারালো ফলা বের করতে জটিল অস্ত্রোপচার করলেন এনআরএস হাসপাতালের শিশু শল্য বিভাগের চিকিৎসকেরা। দুঘণ্টার অস্ত্রোপচারের শেষে সাফল্যও পেলেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, সাড়ে তিন বছরের রাহুল মণ্ডল নদীয়া জেলার তাহেরপুরের বাসিন্দা। তার বাবা গৌর মণ্ডল পেশায় কৃষক। গতকাল সকালবেলায় মাঠ থেকে ঘরে ফিরে গৌরবাবু হাতের কাস্তে মাটিতে রেখে খেতে বসেন। সেসময়ই খেলতে খেলতে শিশুটির বাঁ হাত পড়ে যায় কাস্তেটির উপর। তার হাতের ভিতর ঢুকে যায় কাস্তের ধারালো ফলা। তৎক্ষণাৎ সাড়ে তিন বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ছোটেন দম্পতি। সেখানে বিশেষ কিছু কাজ না হওয়ায় তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে যান কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতালে। সেখানে শিশুর প্রাথমিক সেবা-শুশ্রূষা হলেও দুঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে তার হাত থেকে কাস্তের ফলা বের করতে অক্ষম হন চিকিৎসকেরা। হাত থেকে ধারালো ফলা বের করার জন্য তাঁরা এনআরএস হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার নিদান দেন। অতঃপর শিশুটিকে নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ তার বাবা-মা পৌঁছান এনআরএস হাসপাতালে। হাসপাতালের শিশু শল্য বিভাগের প্রধান কৌশিক সাহার নেতৃত্বে তড়িঘড়ি শুরু হয় জটিল অস্ত্রোপচার। রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয় অস্ত্রোপচার। দুঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারের শেষে সাফল্য পান চিকিৎসকেরা। বর্তমানে স্বাভাবিক আছে শিশুটিও।
সোমবার সকালেই বিনা মেঘে বজ্রপাত পড়েছিল শিশুটির পরিবারের মাথায়। তবে নীলরতন সরকার হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাফল্যে বড়সড় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন শিশুর বাবা-মা। বিরল অস্ত্রোপচারে সাফল্য অর্জন করে খুশি চিকিৎসকেরাও।