আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। গেরুয়া শিবির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাহায্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় শাসন করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের "দুয়ারে সরকার" প্রকল্প যে ঘাসফুল শিবিরের মাস্টারস্ট্রোক ছিল তা অস্বীকার করা যায় না। এবার শাহ বাংলায় এসে এটা খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন যতই গেরুয়া শিবির রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রান্তে প্রান্তে গিয়ে মিটিং মিছিল করুক না কেন, সবচেয়ে জরুরি বাংলার মানুষের ভোট পেতে গেলে তাদের দুয়ারে পৌঁছানো। তাই এবারের বাংলা সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও স্বপন দাশগুপ্তের সাথে বৈঠক করেন।

গভীর রাতের বৈঠকে অমিত শাহ রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বদের নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের রণনীতি সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আর সেখানেই বিজেপির রাজ্য জুড়ে যে পরিবর্তন যাত্রা শুরু হয়েছে তার আগামী দিনে কার্যকারিতা সম্বন্ধে ছক কষেন। এছাড়া এদিন ঠিক করেন যে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে আলাদা করে মোট ৪২ টি জনসভা করবে বিজেপি যাতে উপস্থিত থাকবেন কোন না কোন কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া মোট ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আয়োজন হবে মাঝারি মাপের জনসভা যাতে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের নেতারা। এছাড়া প্রতিটি বুথ অঞ্চলে ছোট ছোট আলোচনা সভা ও পথসভা আয়োজন করতে হবে। এছাড়াও গোটা রাজ্য জুড়ে গেরুয়া শিবির কর্মীদের সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে তাদের অসুবিধার কথা জানা ও তার সমাধান করার ওপর বেশি করে জোর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসলে শাহ এবার বাংলার মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে বিজেপির প্রচার করে তাদের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পথ প্রশস্ত করতে চায়।