স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে কোভিড চিকিৎসা বাবদ বিরাট অঙ্কের টাকা পাওনা রয়েছে শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালের৷ অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে কর্মীদের বেতন পর্যন্ত দেওয়া গেল না৷ উদ্বেগ জানিয়ে জেলাশাসককে চিঠি দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷
হুগলির এই শ্রমজীবী হাসপাতালটিকে গত এপ্রিলে করোনা হাসপাতাল করে প্রশাসন৷ সেই থেকে ৮০টি সাধারণ ও ২০টি সিসিইউ শয্যায় চিকিৎসা হয়েছে প্রায় দু’হাজার করোনা রোগীর৷ এই খাতে গত নভেম্বর পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে অন্তত ৪ কোটি টাকা৷
সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর হাসপাতালটির ১০টি সিসিইউ এবং ৩০টি সাধারণ শয্যা কোভিড আওতার বাইরে রাখার নির্দেশ দেয়৷ কিন্তু কোভিড–বিধি থাকায় ওই শয্যায় অন্য রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না৷ চিকিৎসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্য রোগে অসুস্থরা৷ বাড়ছে হাসপাতালের আর্থিক সমস্যাও৷ এই অবস্থায় স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে বকেয়া টাকা মেটানোর পাশাপাশি পুরো হাসপাতালটিই ছেড়ে দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ৷