স্কুলে পৌঁছাতে দেরী হয়ে গিয়েছিল শিক্ষকের। তাই রেজিস্ট্রার খাতায় সই করতে বাঁধা দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এরপরেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে বচসা এবং তারপর বিষয়টি হাতাহাতিতে এসে পৌঁছায়। প্রধান শিক্ষককে মাটিতে ফেলে বেধরক মারতে থাকেন ওই শিক্ষক। আহত প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে এগিয়ে এলে অন্য এক শিক্ষকও প্রহারের শিকার হন।
শুক্রবার এমন ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ির অজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। তড়িঘড়ি আহত শিক্ষকদের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ও অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে পুলিশে অভিযোগ করেন বাকি শিক্ষকরা। অভিযোগমাফিক গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্ত। অজয়পুর স্কুল সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম দেবাশিস খাগ। গতকাল তিনি বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে দেরী করায় তাঁকে রেজিস্ট্রার খাতায় সই করতে বারণ করেছিলেন প্রধান শিক্ষক আশিস গড়াই। এরপরেই বচসা ও মারধোর। স্কুলের শিক্ষাকর্মী অভিজিৎ ভাণ্ডারি তাঁকে বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করেন।
আহত ওই শিক্ষাকর্মীর কথায়, "দেবাশিস প্রথমে আমার নাকে ঘুসি মারেন। তারপরে মাটিতে ফেলে লাথি মারা হয়। প্রচণ্ড রক্তপাত হয়েছে। তিনি কিছুদিন ধরেই এই রকম আচরণ করছেন।" প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, "আমাকে জামার কলার ধরে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আমার সহকর্মী আমাকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই শিক্ষাকর্মী।" যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্তের পক্ষ থেকে।