গত বছর মার্চ মাসেই করোনার চোখরাঙ্গানিতে গনপরিবহন, অফিস-কাছারির সাথে বন্ধ হয়ে গেছিল রাজ্যের স্কুলগুলি। এবছর ফেব্রুয়ারিতে পরিস্থিতি সামান্য উন্নতি হতে স্কুল খোলার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। আবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর জেরে ফের স্কুল বন্ধ করতে একপ্রকার বাধ্যই হয় সরকার। ঠিক সেকারনেই এবারের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা না নিয়েই বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ফলপ্রকাশ করেন শিক্ষা পর্ষদ।
অথচ এত বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই রাজ্যে চলছে বেশ কিছু স্কুল। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরে সরকারের নজর এড়িয়ে স্কুল চলার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। আবার একই চিত্র ধরা পরল আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে। অভিযোগ সরকারী নির্দেশ অমান্য করে সেখানে চলছিল একটি বেসরকারি স্কুল। অভিযোগ পেয়েই তৎক্ষণাৎ উক্ত স্কুলে ছুটে যান কালচিনির বিডিও। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, মাস্ক ছাড়া একজায়গায় গাদাগাদি করে বসে রয়েছে শিশুরা। শুধু শিশু নয়, এদিন ঐ স্কুলে দেখা গেল উঁচু ক্লাসের ছাত্রদেরও। তা দেখেই অবিলম্বে স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিডিও। যদিও এর মাঝেই এক শিক্ষক দাবী করেন, সেখানে স্কুল নয়, ‘টিউশন’ চলছিল।